বিশেষ প্রতিবেদন:
সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের কাছে অ’সহায় হয়ে পড়েছে। নভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রা’ন্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। মৃ’তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬ জনে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে ৩ জন করোনা রোগী। রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগেই জনগণ মূলত কাবু হয়ে পড়েছে আত’ঙ্ক ও গুজবে। রাজনৈতিক অঙ্গনও এর বাইরে নয়।
দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে বিএনপিকে প্রতিদিনই বিবৃতি দিতে হচ্ছে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা করছেন। আবার রোজ সকালে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সংবাদ সম্মেলনও চলছে।
এদিকে করোনা আত’ঙ্কে বিএনপি কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ঢাকা দক্ষিণের একজন সিনিয়র নেতা জানান, নেতাকর্মীরা আশায় আশায় বসে আছে। অথচ উনারা (দলের শীর্ষ নেতারা) ম্যাডামকে মুক্ত করার বিষয়ে কোনো রাস্তা বের করতে পারেননি। হয়ত তারেক রহমান নিজেই চান ম্যাডাম জিয়াকে নিয়ে এভাবে রাজনীতি করতে। নইলে দলে বড় বড় আইনজীবী থাকতে জামিন কেন হয় না!
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৯ মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার সাথে গতকাল সাক্ষাৎ করেছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম ও কয়েকজন আত্মীয়। বেগম জিয়াকে আশ্বস্ত করা হলো জামিন চেষ্টা চলমান আছে বলে। নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় আছেন কখন ম্যাডাম মুক্তি পাবেন, এই সরকারকে হঠিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাবে বিএনপি। তবে এসব কথায় খুব একটা খুশি হননি খালেদা জিয়া,- এমনটাই জানালেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।
খালেদা জিয়া তার স্বজনদের জানিয়েছেন, এখন আপাতত জামিনের চেষ্টা করার দরকার নাই। এই হাসপাতাল অনেক নিরাপদ। এখানে করোনা সংক্র’মনের কোনো সুযোগ নাই। সরকার তার কাছে কাউকে ঘেঁষতে দেয় না, এটা এক হিসেবে ভালো। বাইরের লোক না আসাই ভালো। এই মুহূর্তে জামিন হলে নেতাকর্মীরা দেখা করতে আসবেন, সেটা নিরাপদ হবে না। তাই হাসপাতালের বাইরে যাওয়ার আপাতত ইচ্ছা নাই।
সেলিমা রহমান হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে খালেদা জিয়ার পক্ষে এই বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে। মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে কী মন্তব্য করেছেন, সেটা এখনো জানা যায়নি।