আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ভারতে গোমূত্রে তৈরী হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গোবরে তৈরী সাবান কেনার হিড়িক পড়েছে! দেশটিতে যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সং’কট, ঠিক তখন ‘কাউপ্যাথি’ নামে এক ব্র্যান্ড বাজারে এনেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সেই স্যানিটাইজার। তবে এই স্যানিটাইজারের কোনো কার্যক্ষমতা আছে কি না, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, ই-কমার্স সাইটে ৫০ মিলিলিটারের দুটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০০ টাকায়; যা গরুর গোমূত্র দিয়ে তৈরি। আর ২১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ‘কাউপ্যাথি’ সাবানের প্যাক; যা গোবর দিয়ে তৈরি।
তবে চিকিৎসকরা অ্যালকোহল জাতীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস আত’ঙ্কের পর থেকে গোমূত্র এবং গোবরের ওপরেই প্রবল আস্থা দেখিয়েছেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ। এই ভাইরাস দূর করতে গোমূত্র, গোবর এবং গোজাত সামগ্রীর উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
দিল্লিতে করোনা ভাইরাসের সংক্র’মণ রুখতে চা পার্টির মতো ‘গোমূত্র পার্টি’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দু মহাসভা।
মুরগির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সম্পর্ক নেই: মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এখনও করোনা ভাইরাস আক্রা’ন্ত রোগী পাওয়া না গেলেও আত’ঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। শুধু তাই নয়, গুজব ছড়িয়েছে– মুরগি খেলে করোনা হয়। এমন গুজবে বাজারে মুরগির দাম কমে গেছে। খবর বিবিসির।
আর সেই সুযোগে বেড়ে গেছে খাসির মাংসের দাম। কোথাও ৭০০-৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অবশেষে বাধ্য হয়ে জনসাধারণকে অভয় দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মুরগি খেলে আত’ঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মুরগির সঙ্গে করোনার কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে বাজারে খাসির মাংস অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে দেখতে বলা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টায় দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশ্বাস কর্তাদের। ১ সপ্তাহ আগেও খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হতো ৬২০ টাকায়। বুধবার বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০০-৭২০ টাকায়।
পশ্চিমবঙ্গের হগ মার্কেট, তালতলাবাজারসহ এদিন একাধিক বাজারে অভিযান চালান টাস্কফোর্স কর্তারা।
করোনা ভাইরাস আত’ঙ্কে মুরগির মাংসের দাম এক ধাক্কায় ১০০-১১০ টাকায় নেমে এসেছে। তারই সুযোগ নিয়ে বেশি দামে খাসির মাংস বিক্রি চলছে। বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, এ রাজ্যে নয়, বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকেই চড়াদাম খাসির মাংসের।