নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় প্রতিদিন ৩ জন পাগল অথবা ভিক্ষুককে আগামী ১ বছর দুপুরের খাবার খাওয়ানোর কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে এ কর্মসূচি শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বিপ্লব মজুমদার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি রাজনৈতিক ইতিহাস। তিনি সারা জীবন অভাবী, দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। সেই আদর্শ বুকে লালন করে আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় গরীব-দুঃখী মানুষদের আহার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভোগের নয়-ত্যাগের রাজনীতি থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য এ কাজ শুরু করেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্য ১২ বছরে ৭০৪ বার কোরান খ’তম দিয়েছেন মামুন
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনায় পিতার ওসিয়ত মোতাবেক গত এক যুগ (১২ বছর) ধরে সকাল বিকাল কোরান তেলাওয়াত করে যাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মওলানা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের ফজলুল হক সরকারের ছেলে।
মওলানা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০০৮ সালে মওলানা পাস করার পর থেকে তার পিতার ওসিয়ত মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় ৭০৪ বার কোরান খ’তম এবং ২১ হাজার ১৩০ বার সুরা ইয়াসিন খ’তম করেছেন।
তার পিতা বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা স্বাধীনভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করে তোমাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মওলানা পাশ করাতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর এ অবদানের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করতে হবে।
সে দিনের পর থেকেই মামুন সকাল বিকাল কোরান তেলাওয়াত এবং সুরা ইয়াসিন পাঠ শুরু করেন।
মাওলানা মামুন বলেন, পিতার আদেশ অনুসারে প্রতিদিন কোরান ও সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের পাশাপাশি একটি পাণ্ডুলিপি লিখছি। আমি চাই- এই মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়ে সব খ’তম বকশিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে পাণ্ডুলিপিটি তুলে দিতে।
জানিনা, আল্লাহ কীভাবে আমার এই স্বপ্ন পূরণ করবেন। তবে আমি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর জন্য এভাবেই দোয়া করে যেতে চাই। এই মহান নেতার জন্য আমাদের সবার উচিৎ দোয়া করা।
এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ইউসুবজী খান বলেন, মামুন এভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্য কোরান এবং সুরা ইয়াসিন পাঠ করে যাচ্ছেন তা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানতে পেরেই মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
তার মনের আশার কথাও শুনেছি। আমি চাই সে এই মুজিববর্ষে টুঙ্গিপাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এগুলো বকশিয়ে দিয়ে আসুক। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে যেন সে তার পাণ্ডুলিপিটি তুলে দিতে পারে।