টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঘোরাঘুরি করায় সিঙ্গাপুরফেরত এক প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরি’মানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থদ’ণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম হামিদুল ইসলাম। তিনি কাকরাজান ইউনিয়নের সেলিম মিয়ার ছেলে।
বুধবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা এ অর্থদ’ণ্ডের আদেশ দেন।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান জানান, গত ৭ মার্চ উপজেলার কাকরাজান ইউনিয়নের হামিদুল ইসলাম সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন।
এরপর তার সঙ্গে হাসপাতাল, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেটি না মেনে বুধবার সকালে জনসম্মুখে ঘোরাফেরা করছিলেন।
এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরি’মানা করা হয় এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
কোয়ারান্টাইনের বাইরে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি, প্রবাসীর কারাদ’ণ্ড
শরীয়তপুরে হোম কোয়ারান্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরি করায় এক প্রবাসীর ৫০ হাজার টাকা জরি’মানা, অ’নাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদ’ণ্ড অথবা উভয় দ’ণ্ডে দ’ণ্ডিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে ইতালি থেকে রবিন সরদার (৩০) নড়িয়া উপজেলার চাকধ এলাকায় মোটরসাইকেলে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে এ দ’ণ্ড দেন।
জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত রবিন সরদার শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা লোনসিং এলাকার বাসিন্দা। তিনি ৮ মার্চ ইতালি থেকে দেশে ফিরেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি চাকধবাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন চাকধবাজারে দেখতে পান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে দ’ণ্ড দেয়া হয়।
ফেনীর হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৩৭ প্রবাসী
করোনা ভাইরাসের সংক্র’মণ এড়াতে ফেনীতে ১৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাহসিন নুর অমি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর বাইরে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদারকি করার জন্য।
সিভিল পোশাকে পুলিশও কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের পরিচয় গোপন করা হবে।
এসব প্রবাসীর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এদের প্রত্যেককে ১৪ দিন পারিবারিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
114