বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলার গু’লিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামে একটি পুকুরে বিষ দিয়ে হাজার হাজার মাছ মে’রে ফেলছে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষ’তি হয়েছে বলে জানান ক্ষ’তিগ্রস্ত পুকুর মালিক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় উপজেলার গোজখালী গ্রামের শাহজাহান দফাদারের (জেলা পরিষদ থেকে লিজ নেওয়া) দেড় একর জমির পুকুরে বিষ দিয়ে তার চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় মাছ মে’রে ফেলছে অ’জ্ঞাত কেউ।
শুক্রবার বিকেলে শাহজাহান দফাদার পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পান তার পুকুরের চাষকৃত মাছ ভেসে উঠেছে। এ সময় শাহজাহান স্থানীয় প্রতিবেশী মনোরঞ্জন কীর্তনিয়া, চাঁন মিয়া ডাক্তার, রেখা রাণী, মামুন শিকদার, ইউপি সদস্য সোহাগ মোল্লা ও ফিরোজা বেগমকে ডেকে তাদেরকে বিষয়টি দেখান। তারা পুকুরপাড়ে এসে হাজার হাজার ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পুকুরে ভেসে থাকতে দেখেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার পরে শাহজাহান দফাদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও আমতলী থানায় মৌখিকভাবে জানান। শনিবার সকালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় শাহজাহান দফাদারের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষ’তি হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুকুর মালিক শাহজাহান দফাদার বলেন, আমি শুক্রবার বিকেলে পুকুরে মাছের খাবার দিতে এসে দেখি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় মাছ ভেসে রয়েছে। এমনকি দুটি মাছরাঙ্গা এবং সাপও ম’রে রয়েছে। আমার ধারণা আমাদের কোনো শ’ত্রু এ কাজ করেছে। আমি এর বিচার চাই। এতে আমার প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষ’তি হয়েছে।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা মৎস্য বিভাগ পানি পরীক্ষা করে দেখছেন মাছগুলো ঠিক কোন কারনে মা’রা গেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী জগদিশ চন্দ্র বসু বলেন, বিষক্রিয়ায় মাছ ম’রেছে কি-না তা পরীক্ষা করার কোনো যন্ত্র আমাদের নেই।
আমতলী থানার পরিদর্শক মো. শাহআলম মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করে তাদের বিরু’দ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।