চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামে এক পুলিশ সদস্য করোনা আক্রা’ন্ত হওয়ার পর বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ১৩ জন চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ ২২৫ জন পুলিশ সদস্যকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ- সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বকর সিদ্দিক জানান, আক্রা’ন্ত ওই পুলিশ সদস্য সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যারাকে থাকতেন। এ ঘটনায় ওই ব্যারাকটি লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের একজন পুলিশ সদস্যের শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়ার পর পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সিএমপির ওই সদস্য ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি ৫ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার (১২ এপ্রিল) তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসার পর তাকে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত আন্দরিকল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসক, ৩ জন নার্স, ৭ জন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, তার ১২ জন রুমমেটসহ ব্যারাকের ২০০ জন পুলিশ সদস্যকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
রাঙামাটিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃ’ত্যু
রাঙামাটিতে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী একজন মা’রা গেছেন। তার শ্বাসক’ষ্ট ও কাশি ছিল। সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ইউনিটে তিনি মা’রা যান।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামাল জানান, রবিবার (১২ এপ্রিল) ওই ব্যক্তি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে কাশি ও শ্বাসক’ষ্ট নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসলে অবস্থা খারাপ দেখাই তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়। ওইদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
তিনি জানান, সোমবার রাত ২টার দিকে তিনি আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। মৃ’ত ব্যক্তির বাড়ি কুষ্টিয়া বলে জেনেছি। তবে তিনি শহরের ভেদভেদী এলাকায় থাকতেন।