বরগুনা প্রতিনিধি:
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে যখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নামে চাল লোপাটসহ নানাবিধ অপরাধের খবর পাওয়া যাচ্ছে, সে সময় এক ইউপি সদস্য জামায়াতে ইসলামীর নেতার বিরু’দ্ধে ত্রাণ দেওয়ার নামে এক দিন-মজুরের মেয়েকে ধ’র্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত আনোয়ার খান তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর রোকন।
জানা যায়, লকডাউনের কারণে ওই পরিবারটি আছে খাদ্য সং’কটে। গত সোমবার তাদের নাম সরকারি সহায়তার তালিকাভুক্ত করতে ইউপি সদস্য আনোয়ার খানের কাছে যান মেয়েটির দিন-মজুর বাবা। তখন জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্য আনোয়ার সবার এনআইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে দিন-মজুরের বিবাহিত কন্যা এনআইডি কার্ড নিয়ে আনোয়ার খানের বাড়িতে গেলে তাকে একা পেয়ে ধ-র্ষণ করেন তিনি। দেরি দেখে ওই মেয়ের স্বামী ইউপি সদস্যর বাড়িতে গেলে ঘটনাটি দেখে ফেলেন। তখন বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুম’কি দেন জামায়াত নেতা আনোয়ার। পরে তার পরিবার থানায় মামলা করে। এতে তাদেরকে এলাকা ছাড়ার জন্য শা’সানো হয়।
মেয়েটির দাবি, তার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে আনোয়ারের লোকেরা। আজ পর্যন্ত তার তার খোঁজ মেলেনি। এছাড়া তার পরিবারটিকেও অবরু’দ্ধ করে রাখা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমি দিন-মজুর। ঘরে খাবার নাই। এর মধ্যে মেয়ে আর জামাতা বেড়াতে আসছে বাড়িতে। আনোয়ার মেম্বারের কাছে গেলে সে সবার এনআইডি কার্ড নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। তার বাড়িতে গেলে সে আমার মেয়ের সর্বনা’শ করছে। মামলা করায় এখন এলাকা ছাড়ার হুম’কি দিচ্ছে সে।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর রোকন ও ইউপি সদস্য আনোয়ার খান বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। মেয়েটি যাকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে, সে আসল স্বামী না। ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তালতলীর ইউএনও সেলিম মিঞা বলেন, খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নামে যা ঘটেছে, খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।