সময় এখন ডেস্ক:
টেলিভিশন বা যে কোনো ভিডিওতে তারাবির নামাজ অনুকরণের সুযোগ নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, নবীজী এ ধরনের নামাজ নিজে পড়েননি। পড়তে কাউকে উৎসাহিতও করেননি। টেলিভিশনে কোনো ইমামকে অনুসরণ করা বিভ্রা’ন্তি ছাড়া আর কিছু নয়। এটি স্পষ্টভাবে নাজায়েজ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের দায়িত্বশীল মানুষদের প্রতি নবীজীকে অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, নামাজের ক্ষেত্রে নবীজী, সাহাবায়ে কেরাম ও অলি আল্লাহদের নামাজের রীতি আমাদের অনুসরণ করতে হবে।
টেলিভিশন বা যে কোনো ভিডিও দেখে কোনো ইমামকে অনুসরণ করলে নামাজ ভ’ঙ্গ হয়ে যাওয়ার কারণ পাওয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নবীজীর সুন্নাহ অনুসরণে নামাজ আদায়ের তাওফিক দিন।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, মুসলিম সমাজে বিভ্রা’ন্তি সৃষ্টির লক্ষে কেউ কেউ নামাজে কুরআন মাজিদ দেখে পড়ার কথা বলছে। এটা সম্পূর্ণ বিভ্রা’ন্তি। যুগ যুগ ধরে চলে আসা নামাজে কুরআন মুখস্থ পড়ার রীতি এমনিই এমনিই আসেনি। নবীজী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই নামাজে কুরআন দেখে পড়েননি।
নতুন করে বিভ্রা’ন্তি সৃষ্টি করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। বুখারি শরিফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেভাবেই নামাজ পড় যেভাবে আমাকে নামাজ পড়তে দেখেছো।
প্রসঙ্গত, জামায়াতি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর সাম্প্রতিক একটি বিত’র্কিত মাসআলা নিয়ে দেশের হক্কানী ওলামায়ে কেরামগণ ক্ষু’ব্ধ হয়েছেন। আজহারী ফেসবুক লাইভে বলেন, কোরআন শরীফ দেখে দেখে নামাজ পড়া জায়েজ। এ সময় তার কাছে অনেকে ঘরে তারাবি পড়ার বিষয়ে জানতে চান, টিভি বা অন্য কোনো মাধ্যমে নামাজ পড়া দেখে তার অনুসরণ করা কিংবা সামনে কোরআন রেখে দেখে দেখে নামাজ পড়া যাবে কি না। এর জবাবে আজহারী বলেন, এমনটা জায়েজ আছে।
এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে একে ইসলামের অপ’ব্যাখ্যা এবং ভুল মাসআলা বলে প্রতিবাদ জানান দেশের শীর্ষ আলেমগণ।
228