বিশ্ব বিচিত্রা ডেস্ক:
নিলামে উঠল এক টুকরো চাঁদ! লন্ডনে ক্রিস্টির নিলাম ঘরে বিক্রি হল এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে পাওয়া চাঁদের ৫ম বৃহত্তম পাথর। দাম উঠল ২ মিলিয়ন পাউন্ড বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা। খবর এই সময়ের।
১৩.৫ কেজি ওজনের পাথরটি সম্ভবত কোনও উল্কা বা ধূমকেতুর আঘা’তে চাঁদের বুক থেকে খসে পৃথিবীতে এসে পড়ে। সাহারা মরুভূমি থেকে এই পাথরটি উদ্ধার হয়। NWA12691 নামেই পরিচিত চাঁদের এই পাথরটি।
এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে মোট ৬৫০ কেজি ওজনের চাঁদের পাথর পাওয়া গেছে। এই পৃথিবীর বাইরের কোনও বস্তু হাতে ধরার মধ্যে একটা অদ্ভুত অনুভূতি রয়েছে বলে জানান ক্রিস্টির সায়েন্স অ্যান্ড ন্যাচরাল হিস্টরি বিভাগের প্রধান জেমস হিসলপ।
প্রায় একটি ফুটবলের আকারের এই পাথর নাসার অ্যাপোলো স্পেস মিশনে চন্দ্রারোহীদের দ্বারা নিয়ে আসা চাঁদের পাথরের মতোই দেখতে।
করোনার কারনে তিমি ধরা বন্ধ, বেঁচে যাচ্ছে বহু প্রাণ
করোনার কারনে জাপানে তিমির মাংস ব্যবসা রেকর্ড হারে কমে গেছে। এমনকি, তিমির মাংস প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে বলা যায়, করোনা ভাইরাস প্রকৃতির জন্য শাপে বর হয়েছে। কারণ এর ফলে বেঁচে যাচ্ছে কয়েক হাজার তিমির প্রাণ।
আইসল্যান্ডের দু’টি সংস্থার মধ্যে একটি তিমি ধরা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি নিষে’ধাজ্ঞার কারণে উপকূল থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে তিমি ধরতে হয়। আইসল্যান্ড সরকার তিমি ধরার ওপর বিধিনিষে’ধ চালু করার পর জাপান নিজ দেশিয় তিমি শি’কারিদের ভর্তুকি দিতে শুরু করেছে।
বেশ কয়েক বছর আইসল্যান্ডে তিমি ধরা বন্ধ ছিল। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে পুনরায় ‘বৈজ্ঞানিক স্বার্থ’ দেখিয়ে তিমি ধরা শুরু করে আইসল্যান্ড। মূলত ‘মিনকি’ এবং সংখ্যায় কমে আসা ‘ফিন’ প্রজাতির তিমি মাছ ধরা হয় আইসল্যান্ডের উপকূলে। আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং ২০১৮ সাল থেকে জাপানে বাণিজ্যিক স্বার্থে তিমি ধরা চালু হয়।
বাণিজ্যিক স্বার্থে ধরার ফলে তিমির সংখ্যা দ্রুত গতিতে কমে যেতে শুরু করে। অনেক প্রজাতি এখন আর চোখেই পড়ে না। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও এই স্তন্যপায়ী প্রাণী অস্তিত্ব সং’কটের মুখে। তার উপর ব্যাপকহারে ধরপাকড়। তবে করোনার জন্য আপাতত তিমি ধরা কমেছে একদমই।