চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় ‘আরটি-পিসিআর’ মেশিন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেটি স্থাপনের পর ক্যালিব্রেশন (মেশিন পরীক্ষার করার একটি পদ্ধতি) করার সময় ত্রু’টি ধরা পড়ে। ফলে চমেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
আজ রবিবার সকালে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওভারসিস ম্যানেজম্যান্ট কর্পোরেশন মেশিনটি খুলে নিয়ে যায়। এর আগে গত ২০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার জন্য চমেকে আরটি-পিসিআর মেশিনটি আনা হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামে শুরু থেকেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় ল্যাব সং’কট দেখা দেয়। প্রথমে গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) পরীক্ষা শুরু করে। এরপর গত ২৫ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) দ্বিতীয় ল্যাব চালু হয়।
চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান বলেন, পিসিআর মেশিন প্রাথমিকভাবে চালু করার পর বড় রকমের ত্রু’টি ধরা পড়ে। তাই মেশিনটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকায় নিয়ে গেছে। তারা নতুন একটি মেশিন সরবরাহ অথবা মেশিনটি মেরামত করে দিবে। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য চমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বায়োসেফটি ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে চিকিৎসক ও রোগী বসার স্থান, নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা কক্ষসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এটি চালু হলে চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষায় জট কমবে।
জানা যায়, চমেকের ল্যাব চালু হলে নমুনা পরীক্ষায় জট কমার সম্ভাবনা দেখা দেয়। কারণ বিআইটিআইডি’র ল্যাবে দৈনিক পরীক্ষা করার সক্ষমতা আছে ১৩০-১৫০টি নমুনা। তাছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যায় ১০০টি। কিন্তু চট্টগ্রামে দৈনিক প্রায় ৪শত নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ফলে প্রতিদিনই নমুনা থেকে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নমুনা জট।
এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২শত নমুনা জমা আছে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডে একটি নমুনা সংগ্রহের পর সর্বোচ্চ ৩ দিন রাখার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে ৭ দিন পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। চমেকের ল্যাব চালু হলে নমুনা জট কমতো বলে জানা যায়।