চট্টগ্রাম ব্যুরো:
এক করোনা ভাইরাসের প্র’কোপে বিশ্বজুড়ে চলছে দুর্যোগ। এমন দুর্যোগে চট্টগ্রামে যোগ হয়েছে জলাব’দ্ধতার দু’র্ভোগ। গত শনিবার রাতে এবং আজ সকালের হালকা-ভারী বৃষ্টিতেই জলাব’দ্ধতা তৈরি হয়েছে নগরের অনেক এলাকায়। ফলে করোনার দুর্যোগে এখন সঙ্গী হয়েছে জলাব’দ্ধতার দু’র্ভোগ।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট মেঘের ঘনঘটায় ভোর থেকে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। সকাল ৯টার পর যা ধীরে ধীরে মুষলধারে রূপ নেয়। ঘণ্টাব্যাপী ভারি বর্ষণের পর বিরতি নিয়ে বৃষ্টি পড়ে। সতর্ক সংকেত না থাকলেও দিনভর আকাশ মেঘলা ও মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তাছাড়া বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়ার কোনো সতর্কবার্তা নেই। তবে আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থাকবে। বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক থাকবে।
জানা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেই নগরের অনেক নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যায়। তৈরি হয় জলাব’দ্ধতা। নগরের বহর্দ্দারহাট হক মার্কেট, শুলকবহর, কাপসগোলা, বাদুড়তলা, হালিশহর, বড়পুল, ছোটপুল, ব্যাপারি পাড়া, মৌলভী পাড়া, সুপারি পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাব’দ্ধতা তৈরি হয়।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, চট্টগ্রাম জলাব’দ্ধতা নিরসনে চলমান ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ করোনার কারণে বন্ধ আছে। ৩ বছর মেয়াদকালের এ প্রকল্পের ২ বছর পার হলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। এজন্য সিডিএ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যকার পারস্পরিক অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন অনেকেই।
এদিকে খাল খনন, খাল পরিস্কারসহ এখনো নানা কাজ বাকি। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নগরজুড়ে জলাব’দ্ধতার আশ’ঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, করোনার কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ। তবে রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা হচ্ছে।