চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও মানবতাবিরো’ধী অপরাধের মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে আজীবন জেল-এর সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে পদ খোয়ালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ এইচ এম ইব্রাহিম খলিল।
বিনোদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের শরিফুল ইসলাম ডুডু ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত দলীয় লেটারহেড প্যাডে সোমবার এ অব্যা’হতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ২২ এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম ইব্রাহিম খলিলকে সাময়িক অব্যা’হতি প্রদান করা হলো এবং সুপারিশসহ চূড়ান্ত সাজার জন্য কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়ামের নিকট প্রেরণ করা হবে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোসিকুল ইসলাম টিসু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে নাটক করে কেউ বেশিদিন টিকতে পারে না। অনেকেই সুযোগ বুঝে ভোল পাল্টে দলে ভিড়েছে। কিন্তু একটা সময় তাদের আসল চরিত্র ফুটে উঠে। সেই রকমই কাজ করেছে ইব্রাহিম খলিল। ফলে তাকে যুবলীগ থেকে থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং চূড়ান্ত বহি’ষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এইচ এম ইব্রাহিম খলিল বলেন, স্থানীয় কয়েকজন আলেম আমাকে বলেন- দেশের সব ধর্মীয় নেতা এক হয়ে সাঈদীর মুক্তি চচ্ছে সেখানে আপনি কেন চাইছেন না। আপনি সাঈদীর মুক্তি চেয়ে কিছু বলেন। পরে তাদের কথা মত আমি ফেসবুকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে একটি ভিডিও দিই। কিন্তু পরে বিষয়টি স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের চোখে পড়লে তারা আমাকে ভিডিওটি ডিলিট করতে বললে আমি সাথে সাথে সেটা রিমুভ করে ফেলি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল হক আসাদ বলেন, ইব্রাহিম খলিল দলীয় শৃঙ্খলা ও নীতি অব’মাননা করে জামায়াত নেতা রাজাকার দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন, যা নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযু’দ্ধের চেতনার পরিপ’ন্থী। তাই তার যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা সংগঠনটির জন্য লজ্জা’জনক।
এদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইব্রাহিম খলিলের এমন কর্মকাণ্ডে। তারা খলিলকে চিরস্থায়ী বহি’ষ্কারের আবেদন জানান। পাশাপাশি তার পরিবারের সাথে রাজাকারদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান।
894