সময় এখন ডেস্ক:
বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত “জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯” নম্বরটি মানুষের সকল আশা ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছে চালুর পর থেকেই। প্রায় প্রতিদিনই পত্র পত্রিকায় দেখা যায় বড় ধরনের বিপদ থেকে বাঁচার জন্য ৯৯৯-এ কল দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে রক্ষা পেয়ে যান। শুধু মানষের সেবায় নয়, পশু-পাখির বিপদেও উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন সরকারি সংস্থার লোকজন ৯৯৯-এ কল পেয়ে।
এবার ঠিক সেভাবেই ৯৯৯-এ ফোনকল পেয়ে বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনা থেকে একটি ডুবন্ত জাহাজ থেকে ১১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড।
আজ বুধবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় একজন নাবিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে ভাসান চরের নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনা স্থলে তাদের “আল নুর-২” নামের জাহাজটির তলা ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকে পড়ছে এবং জাহাজটি ডুবে যেতে শুরু করেছে। জাহাজে তারা ১১ জন নাবিক রয়েছেন বলেও জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, তারা জাহাজটি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছিলেন যশোরের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে জাহাজটি ডুবতে বসেছে। এ সময় তাদের জীবন বাঁচানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান ওই নাবিক।
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ভাসান চর পুলিশ ফাঁড়ি, চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ এবং কোষ্টগার্ডের হাতিয়া অঞ্চলকে জানায় এবং উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সাগরে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর মতো উপযুক্ত নৌযান নৌপুলিশের কাছে না থাকায় সংবাদ পেয়ে হাতিয়া কোষ্টগার্ডের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
হাতিয়া কোষ্টগার্ডের লে. কমান্ডার আতিক জানান, সাগর এবং নদী উত্তাল থাকায় তাদের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ জন নাবিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু জাহাজটি ডুবে গেছে।
উদ্ধার পাওয়ার পর নাবিকরা কৃতজ্ঞতা জানান এই সমগ্র প্রক্রিয়ায় জড়িত সকল সংস্থার সদস্যদের প্রতি।
1.5K