আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সুইডেনে বসন্ত উৎসব “ওয়ালপারগিস নাইট” উপলক্ষে সাধারণ মানুষ যাতে ভিড় না জমাতে পারে সেজন্য দেশটির প্রধান পার্কে মুরগির বিষ্ঠা ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর লুন্ডেতে এ ধরনের ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর পুরো স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল জুড়েই পালিত হয় বসন্ত উৎসব। এ উপলক্ষে লুন্ডের পার্কে হাজার হাজার মানুষের আবির্ভাব ঘটে। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে পার্কটির কর্মকর্তারা চাইছেন উৎসবে মানুষের ভিড় এড়াতে। যদিও দেশটিতে কোনও লকডাউন নেই। কিন্তু সেখানে লোকজন নিজেরাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন।
গুস্টাভ লুন্ডব্লাড নামে এক কর্মকর্তা বলেন, জনসমাগমের ফলে লুন্ড খুব সহজেই করোনা ভাইরাস সংক্র’মণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে।
কিন্তু ভিড় ঠেকাতে পার্কে মুরগীর বিষ্ঠা ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, এই সুযোগ আমরা পার্কে সার ছড়িয়ে দিতে চাই। এতে গন্ধ হবে ঠিকই। ফলে লোকজন পার্কে বসে বিয়ার পান করতে চাইবে না।
প্রসঙ্গত, ওয়ালপারগিস নাইট বহু প্রাচীন এক উৎসব। এটি খ্রিষ্ট ধর্ম আসার আগে থেকেই প্রচলিত একটি প্যাগান সামাজিক উৎসব। যার মাধ্যমে বসন্ত ঋতুকে বরণ করে নেয়া হয়।
করোনার ভ্যাক্সিন তৈরির দাবি ইতালির বিজ্ঞানীদের
বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা ভাইরাস তা’ণ্ডব। ভাইরাসটিতে আক্রা’ন্ত হয়ে প্রতিদিন মা’রা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি ঠেকাতে ভ্যাক্সিন তৈরির দাবি করেছেন ইতালির বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলবার (৫ মে) সায়েন্স টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সায়েন্স টাইমস জানায়, ট্যাকিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাক্সিনটি তৈরি করেছে। ট্যাকিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লুইগি অরিসিচিও দাবি করেন, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯’এর ভ্যাক্সিন তৈরির প্রতিযোগীতায় এটিই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
ভ্যাক্সিনটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা জানান, তারা রোমের একটি হাসপাতালে ভ্যাক্সিনটির পরীক্ষা চালিয়েছেন। সেটি ইঁদুরের শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি মানবকোষেও কাজ করবে।
ট্যাকিসের সিইও অরিসিচিও ইতালির বার্তা সংস্থা এএনএসএ’কে জানান, ভ্যাক্সিনটি পরীক্ষা বর্তমানে শেষের পর্যায়ে রয়েছে। চলতি গ্রীষ্মেই এটি মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হবে।
ভ্যাক্সিনটি ফলদায়ক করতে ইতালি সরকারের সহায়তা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার অংশীদারিত্ব প্রয়োজন বলে জানান ট্যাকিস সিইও।
তিনি আরও বলেন, এটি (ভ্যাক্সিন তৈরি) কোনো প্রতিযোগিতা না। আমরা যদি লোকবল আর দক্ষতা একত্রে কাজে লাগাই, তাহলে আমরা করোনা ভাইরাসের বিরু’দ্ধে জয়ী হবো।
42