আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সারা বিশ্বে মহামা’রি সৃষ্টিকারী জীবাণু করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে এবার নতুন তথ্য সামনে এসেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বনরুই (প্যাঙ্গোলিন) ও বাদুড়ের শরীরে থাকা দুটি ভাইরাসের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে আজকের করোনা ভাইরাস।
সাউথ চায়না এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি এবং গুয়াংডং ল্যাবরেটরির চীনা গবেষকরা তুলনামূলক জিনোমিক বিশ্লেষণে জন্য একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে চীনের বৈশ্বিক টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিন।
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, বনরুই তথা প্যাঙ্গোলিনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্র’মণে সৃষ্ট রোগ মহামা’রি কোভিড-১৯ এর জীবাণু সার্স-কভ-২ এর উপস্থিতি রয়েছে।
মালয়েশিয়ার ২৫টি প্যাঙ্গোলিনের মধ্যে ১৭টির শরীরে সার্স-কভ-২ এর ই, এম, এন এবং সি জিনের ১০০, ৯৮.৬, ৯৭.৮ ও ৯০.৭ শতাংশ মিল রয়েছে। তাই বলা হচ্ছে যে, প্যাঙ্গোলিনের শরীরে থাকা সার্স-কভ এবং বাদুড়ের আরএটিজি১৩ ভাইরাস সংস্পর্শে এসে বিবর্তন ঘটিয়ে আজকের করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি করেছে।
দেখতে বিদঘুটে হলেও অত্যন্ত লাজুক ও নিরীহ স্বভাবের প্রাণী এই বনরুই। চোরাই পথে পা’চার করা বিশ্বের বিপ’ন্ন প্রাণির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই প্রাণীটি। বহুকাল ধরেই বাংলাদেশসহ অনেক দেশ থেকে চীন ও ভিয়েতনামে এই প্রাণীটি পা’চার করা হয়। বনরুয়েইর শরীরে থাকা আঁশ ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এসব দেশে।
চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ: চীনা সেই ভাইরাস-ল্যাবের সঙ্গে জড়িত ফ্রান্সও!
করোনা ভাইরাসের কারনে বিপ’র্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাস চীনের উহান থেকে শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ভাইরাস উহানের ভাইরোলজি ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে- এমনটাই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। যদিও বারবার চীন এই অভিযোগ অ’স্বীকার করা হয়েছে। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) পর্যন্ত এটি মনুষ্যসৃষ্ট ভাইরাস নয় বলে জানিয়েছে।
এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল চীন। উহানের ভাইরোলজি ল্যাবের সঙ্গে ফ্রান্সও যুক্ত রয়েছে। বেইজিংয়ের দাবি, ল্যাবটি চীন এবং ফ্রান্স যৌথভাবে চালায়।
এক ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি একটি চীন-ফরাসি সহযোগিতামূলক প্রকল্প। এর নকশা নির্মাণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়। উহানের ল্যাবে কর্মীরাও সকলে ফ্রান্স থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তবে চীনের এই দাবির বিষয়ে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি।
এদিকে আবার করোনার উৎপত্তি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে শি জিনপিং সরকার।