কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের মার্কেটগুলোতে স্বল্প পরিসরে দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। মাইকিং, হ্যান্ডবিল বিতরণ, প্রধান সড়কে বাঁশ দিয়ে চলাচলে নিয়ন্ত্রণে এনে বাধা সৃষ্টি করাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ‘নো মাস্ক, নো শপিং’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) হাসিবুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল মূল বড় বড় মার্কেটগুলোর প্রবেশ মুখে ছোট ছোট বিলবোর্ড টানিয়ে দিয়ে করোনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক বার্তাসমূহ ক্রেতাদের দৃষ্টিতে আনা। যাতে মানুষ মার্কেটগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করে কেনাবেচা করবেন।
দোকান খোলা ও বন্ধের সময় জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি ক্রেতাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করার পর দোকানে প্রবেশ করতে দেয়ার নির্দেশ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
সুনামগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি বীজ দিল সেনাবাহিনী
সুনামগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কৃষি বীজ বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার জেলার ৪টি উপজেলা- সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজারের কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী উপজেলা কৃষি অফিসারদের সঙ্গে সমন্বয় করে ধান ও সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।
করোনা পরিস্থিতেতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ১ ইঞ্চিও জমি যাতে খালি না থাকে সেলক্ষ্যে দরিদ্র ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রথম ধাপে এই কৃষি বীজ বিতরণ করা হয়। জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও একই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া সুনামগঞ্জের ইউনিয়ন পর্যায়ে হাওড়ের ধান কাটা কার্যক্রম মনিটরিংসহ ধানকাটা শ্রমিকদের যাওয়া-আসা এবং একত্রীকরণে ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী।
সুনামগঞ্জ জেলায় সেনাবাহিনী তাদের ত্রাণ কার্যক্রমও বজায় রেখেছে। করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত কর্মহীন পরিবারের তালিকা তৈরি করে প্রতিমাসে তাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টাসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, মাস্ক পরিধান, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সবজি ক্রয়সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনীর সদস্যগণ।