আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনার থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। চিকিৎসকরা সে পরামর্শই দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরও মাস্ক পরাতে অ’নাগ্রহ অনেক মানুষের। এরকম দায়িত্বহীন মানুষদের শায়েস্তা করতে তাই অন্যরকম এক ব্যবস্থা নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। মাস্ক না পরলে ৩ বছরের জেলের বিধান করেছে দেশটির সরকার। সেই সঙ্গে গুণতে হবে জরি’মানাও। খবর ‘গালফ নিউজ’ এর।
করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এখন পর্যন্ত কোনো দেশেই এমন সাজার ব্যবস্থা করা হয়নি। মাস্ক না পরার জন্য কাতারেই বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর সাজার বিধান করা হলো।
কাতার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ আইন অ’মান্য করে মাস্ক না পরলে তাকে ৩ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে ৫৫ হাজার ডলার জরি’মানা দিতে হবে।
কাতারে বর্তমানে ২৭ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রা’ন্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭২ জন। অর্থাৎ দেশটির ১.১ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রা’ন্ত হয়েছেন। করোনায় মা’রা গেছে ১৫ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ হাজার ৭৮৮ জন।
প্রস্রাব দিয়ে বাড়ি বানানো হবে চাঁদে!
চাঁদে আবাস গড়া যাবে কিনা- এ নিয়ে মানুষ বিস্তর গবেষণা করেছে। তবে এখনো সফল হয়নি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক গবেষণায় অদ্ভুত তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদে কংক্রিটের কিছু তৈরি করতে গেলে তাতে প্রয়োজন হবে মানুষের প্রস্রাব। এমনটাই জানিয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি।
এজেন্সিটির গবেষণা অনুসারে, প্রস্রাবের মধ্যে পাওয়া প্রধান জৈব যৌগটি চূড়ান্ত আকারে শক্ত হওয়ার আগে চাঁদের কংক্রিটের মিশ্রণটিকে পোক্ত করবে। চাঁদের কংক্রিটের একটি জিওপলিমারের মিশ্রণ, যা কংক্রিটের অনুরূপ। গবেষণায় দেখা গেছে, এ মিশ্রণে ইউরিয়াযুক্ত পানির প্রয়োজন, যা অন্যান্য উপাদানের চেয়ে ভালো কাজ করবে।
একটি থ্রি-ডি প্রিন্টার ব্যবহার করে ইউরিয়া দিয়ে একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে, যা শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে এবং উন্নত কার্যক্ষমতাও বজায় রেখেছে। ইউরোপীয় স্পেস মিশ্রণের একটি গুণ হলো সহজেই মিশে যেতে পারে, যা দিয়ে ঢালাই করা সম্ভব এবং এটি নিজের চেয়ে ১০ গুণ ওজনের ভারী কিছু বহন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণার উদ্যোগী এবং সহ-লেখক মার্লিস আরনহফ জানিয়েছেন, চাঁদের বিশেষ ধরনের মাটির গুঁড়ো বা ধুলো রেগোলিথ সেখানে কংক্রিট তৈরির অন্যতম উপাদান হতে পারে। এটি চাঁদের পৃষ্ঠের সব জায়গায় পাওয়াও যায়। কাজেই পৃথিবী থেকে বিপুল পরিমাণে কংক্রিট নির্মাণের সামগ্রী পাঠানোর প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে ইউরিয়া সুপার প্লাস্টিকাইজার হিসেবে কাজ করার ফলে প্রয়োজনীয় পানিও কম লাগবে।