সময় এখন ডেস্ক:
বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে রাজশাহীতে আবারও রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে সাজা দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এভাবে সাজা দিয়ে রাস্তায় থাকা মানুষকে ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করেন।
সকালে রাজশাহী নগরী ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার ৩টি স্থানে পথ আটকাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবুও মানুষের বাজারমুখী স্রোত থামানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় নগরীর সাহেববাজার এলাকায় খুব প্রয়োজন ছাড়া যাকে দেখা যায় তাকেই রাস্তায় ১৫-২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে তাদের বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও রাজশাহীতে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। এটি বন্ধ করতে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নেয় প্রশাসন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে রাজশাহী নগরীর সব মার্কেট। ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কড়াকড়ি করা হয়েছে রিক্সা-অটোরিক্সা চলাচলেও।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রো’ধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানিরা। এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সং’ক্রান্ত কোর কমিটির সভায় মুদির দোকান ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও করোনা মোকাবেলায় মাঠে কাজ করেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন সকালে আরডিএ মার্কেটে অভিযান চালিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করার অপরাধে ‘রাজ্জাক বস্ত্রালয়’ নামের একটি কাপড়ের দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরি’মানা করেন। এটি দেখে মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। নগরীর ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না বলেই জনস্বার্থে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহীর সকল উপজেলাতেও একইভাবে মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ করা হচ্ছে। জনসমাগম ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আরও বেশি তৎপর রয়েছেন। জনস্বার্থে রাজশাহীতে এই কঠোরতা অ’ব্যাহত থাকবে।
* ব্যবহৃত ছবিটি বেশ কিছুদিন পূর্বের, প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোনো জনগণকে সাজা দেয়ার দৃশ্য।
170