সময় এখন ডেস্ক:
বিপুল পরিমাণ মা’দক ও জাল টাকাসহ রাজধানীর ভাষানটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মা’দক সম্রাজ্ঞী হিসেবে খ্যাত স্বপ্না আক্তারকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মা’দক ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মুন্সি নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৯৫ পিস ই’য়াবা, ৮৪ গ্রাম হে’রোইন এবং জাল টাকাসহ স্বপ্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরু’দ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মা’দক ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়।
বুধবার (২০ মে) রাতে র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসা’বাদে জানা যায়, স্বপ্না আক্তার মা’দকদ্রব্য ও জাল টাকা সংগ্রহ করে বিশেষ কায়দায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব চক্রের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। মা’দক ব্যবসা ও চাঁদা’বাজিতে মাটিকাটা এলাকায় গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। যার কারণে মানুষ ভ’য়ে তার বিরু’দ্ধে কোনো অভিযোগ করতে সাহস পেত না। গ্রেপ্তার স্বপ্নার বিরু’দ্ধে কেউ অভিযোগ করলেই তাকে ভ’য়ভীতি দেখানো হতো।
তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রা’সী কিলার আব্বাসের সাথে স্বপ্না আক্তারের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। স্বপ্না একই এলাকার মানুষজনের কাছে আব্বাস গ্রুপের সদস্য হিসেবেও পরিচিত।
এদিকে স্বপ্নার আটকের খবরে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি জানান, স্বপ্নার অধীনস্ত মা’দক কারবারিরা এলাকার উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে হাতে নে’শাদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে। যার ফলে অনেক পরিবারের ছেলেরা বিপথে চলে গেছে, পড়ালেখা ন’ষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই চাঁদা’বাজি, হাইজ্যাকিংয়ে নেমেছে টাকা জোগাড় করার জন্য। স্বপ্নার কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি।
93