সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে হেলে পড়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্যগুদামের পাশের একটি রেইনট্রি গাছ। গাছটি হেলে পড়েছে গুদামের সীমানার বাইরে বসবাসকারী শিক্ষক আবুল হোসেনের বাড়ির ওপর। এতে গুদাম কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষ’তিপূরণ দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিয়েছেন মামলার প্রস্তুতি।
ক্ষ’তিপূরণ দাবিকারী শিক্ষক আবুল হোসেন নকিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও শ্যামনগর সরকারি মহসিন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
প্রভাষক আবুল হোসেন বলেন, নকিপুর গুদাম লাগোয়া আমার দোতলা বাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ে গুদামের অভ্যন্তরে থাকা একটি রেইনট্রি গাছ আমার বাড়ির ওপর হেলে পড়েছে। গাছের একটি ডাল পড়ে ঘরের টিন উড়ে গেছে, কিছু টাইলসও ন’ষ্ট হয়েছে। এতে আমার অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষ’তি হয়।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আমি গাছের ডালগুলো কেটে নেয়ার জন্য গুদাম কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তবে তারা আমার কথা কানে তোলেনি। এখন আমি আমার বাড়ির ক্ষ’তিপূরণ দাবি করে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ঘুরছি। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেয়ার অপেক্ষা করছি। থানায়ও অভিযোগ দেব। আমি ক্ষ’তিপূরণ চাই।
শ্যামনগরের নকিপুর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন ওই কলেজশিক্ষক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার আবেদন পাঠানো হয়েছে। সরকারি গাছ আমরা চাইলেই কাটতে পারি না। তবে গাছ হেলে পড়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমার কাছে ক্ষ’তিপূরণ দাবি করেছেন ওই কলেজশিক্ষক। না দিলে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। ঝড়ে গাছ পড়ে যাওয়ার ঘটনায় আমার বিরু’দ্ধে মামলার বিষয়টি দুঃখজনক।
এ ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, ঝড়ে একটি গাছ হেলে পড়েছে। এটা কেউ ইচ্ছাকৃত ফেলেনি। ক্ষ’তিপূরণ কে দেবে? বিষয়টি আমি তাকে জানিয়েছি। এখন সরকার যদি তাকে ক্ষ’তিপূরণ না দেয় তবে আমরা তাকে ক্ষ’তিপূরণ দেব।
* ব্যবহৃত ছবিটি প্রতীকী।