অনলাইন ডেস্ক:
লন্ডন থেকে প্রচারিত বিভিন্ন বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পরিচিত মুখ মাওলানা শরীফ আহমদ। ইসলামি জ্ঞান ও প্রশ্নোত্তরভিত্তিক নানা অনুষ্ঠান করেন এবং চ্যানেলের পর্দায় দেখানো বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নাম্বারের মাধ্যমে যাকাত, ফিতরা বা নানা কাজে অর্থ সংগ্রহ করেন ইসলামের নামে। সেই মাওলানার এক ভিন্ন রূপ উন্মোচন করেছে লন্ডনেরই আরেকটি টেলিভিশন চ্যানেল সিলেট টু লন্ডন।
এই চ্যানেলটির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তথ্যগুলো থেকে যা জানা যায়- আলেমের বেশভূষা ধারণ করে বিভিন্ন তদবিরের নামে অসংখ্য নারীর সম্ভ্র’মহানি করে সেসব গোপন ক্যামেরায় ধারন করেন মাওলানা শরীফ আহমদ। তারপর সেই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল করে বছরের পর বছর বিপুল অর্থ আদায় করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি সেসব নারীদের বার বার তার অ্যাপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কও করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, সন্তান জন্মদানে সক্ষম নন- মর্মে চিকিৎসকের প্রতিবেদন দেখে গত ১৫ বছর আগে চলে যান শরীফ আহমদের স্ত্রী। তারপর থেকেই সেই একাকী অ্যাপার্টমেন্টে তিনি তার রঙ্গলীলার আসর জমিয়ে বসেন। অসংখ্য নারীর সাথে অ’নৈতিক সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা দিয়ে অর্থ আদায়ের অ’পকর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। স্ত্রী থাকাকালীন সময়েও তার নানাবিধ অ’পকর্ম চলছিল, এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনেও নানা সময় বি’বাদ হতো।
প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর দেশে তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। এখানে তিনি তার প্রথম বিয়ে ও সন্তানদানে অ’ক্ষমতার কথা গোপন রাখেন। এরই মাঝামাঝি সময়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়েও তার বিভিন্ন নারীর সাথে তার অ’নৈতিক সম্পর্ক চলতে থাকে। এমন সুকৌশলে তিনি সবদিক সামলাতেন যে, কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তার আসল চেহারা সম্পর্কে। আর যারা তার ট্র্যাপে আটকা পড়েছে, তাদের সংসারে ধরে ভাঙন।
সূত্র জানায়, এই শরীফ আহমদ তার নিজের মাদ্রাসার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই অসংখ্য নারীর সাথে ম্যাসেঞ্জারে কু’ৎসিত বার্তা আদান প্রদান করেন নিয়মিত। কিছুদিন আগেও এক তরুণীকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে তদবিরের নামে বিছানায় শুইয়ে গোপনে ছবি ধারন করেন। ওই ছবিটা একটু গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, জানালার কাঁচে তার অবয়ব দেখা যাচ্ছে।
এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারী স্বামীর সাথে ঝ’গড়া করে এসে সরল বিশ্বাসে তার কাছে ২ সপ্তাহ আশ্রয় নেন। এই মাওলানা সুকৌশলে সেই আশ্রিত নারীর সাথেও অ’নৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সম্পর্কের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত সুবিধা নিচ্ছেন এখনো।
একজন আলেম হিসেবে নাম করে তার আড়ালে অ’নৈতিক সম্পর্ক, চ্যারিটির নামে সাধারণ মানুষের অর্থ লোপাট, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অ’পকর্ম করার কারনে মাওলানা শরীফ আহমদ এর ওপর ক্ষু’ব্ধ সিলেটের স্থানীয় জনগণ এবং লন্ডনের ধর্মপ্রাণ সাধারণ বাঙালি। যার ফলশ্রুতিতে কিছুদিন আগে কোনোভাবে তার মোবাইলের ভিডিওগুলো প্রকাশিত হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ রীতিমত হতভম্ব হয়ে যান। টেলিভিশনে লাইভ প্রোগ্রামে ফোনে যুক্ত হওয়া এক নারী ভিডিও প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন- হুজুর এবার ভালো হয়ে যান, এসব ছেড়ে দেন…।
সিলেট টু লন্ডন চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত তথ্য:
7.5K