বিশ্ব বিচিত্রা ডেস্ক:
সাদা ডিম না কি লালচে খোলার ডিম কোনটা ভালো, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী, এ নিয়ে ত’র্ক রয়েছেই। হলুদ না কমলা কোন রঙের কুসুমের ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়েও নানা মতামত। কিন্তু কখনও কি সবুজ রঙের কুসুম চোখে পড়েছে?
ভারতের কেরালার মালাপ্পুরামের একটি খামারের ৭টি মুরগি এমন সবুজ রঙের কুসুমের ডিমই দিচ্ছে, যা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন খামার মালিক থেকে বিশেষজ্ঞরাও! সিদ্ধ বা রান্না করার পরেও ডিমের কুসুমের রঙে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
প্রায় ৯ মাস আগে ওই খামারের মালিক শিহাবুদ্দিন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। খবর যায় কেরালার পশু চিকিৎসা ও প্রাণী বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের (KVASU) গবেষকদের কানে। তারা গবেষণা শুরু করেন।
KVASU-এর গবেষকরা জানান, খামারে মুরগিদের দেওয়া কোনো খাবার থেকেই এই সমস্যা হয়েছে! বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে রেখে ওই ৭টি মুরগিকে তারা খাবার দিয়ে দেখেন। ক’দিন পর থেকেই মুরগিগুলি স্বাভাবিকভাবেই হলুদ কুসুমের ডিম দেওয়া শুরু করে।
পর্যটকের আশায় সমুদ্রের তল থেকে প্রবাল তুলে আনছে ডলফিন!
করোনার কারনে শুধু মানুষই নয়, পশুপাখিদেরও দৈনন্দিন রুটিন বদলে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ড টিন ক্যান বে-তে সমুদ্রের ধারে একটি ক্যাফে রয়েছে, নাম ‘বার্নাকলস ক্যাফে অ্যান্ড ডলফিন ফিডিং’।
এই ক্যাফেতে ডলফিনদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে ক্যাফে বন্ধ। মানুষের অনুপস্থিতিতে মন খারাপ ডলফিনদের। এই অবস্থায় তারা রোজ উপহার নিয়ে আসছে সমুদ্রের তল থেকে। পর্যটকদের ফিরে আসার আকুতি যেন!
ক্যাফেটির ফেসবুক পেজে কিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি ডলফিন মুখে করে সমুদ্রের তলা থেকে প্রবাল, ঝিনুক, বোতল বা কাঠের কিছু জিনিস আনছে। প্রতিদিনই এই ঘটনা ঘটছে বলে জানান ওই সৈকতে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীরা।
লিন ম্যাকফ্যারসন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৯ বছর বয়সের একটি পুরুষ ডলফিন ‘মিস্টিক’ রোজ এই রকম অন্তত ১০টি করে উপহার তুলে আনছে। কেউ তাকে এসব শেখায়নি। কিন্তু সে যেন এখন এই উপহারের বদলে কিছু খাবার পাওয়াটা অভ্যাস করে ফেলেছে।
ফেসবুকে সেই পোস্টে ডলফিনদের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে।
76