সময় এখন ডেস্ক:
নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার নিয়মিত আপডেটের অংশ হিসেব শুক্রবার (৫ জুন) সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ভালো না। রাতে তার শ্বাসক’ষ্ট ছিল। এই মুহূর্তে দেশবাসীর দোয়া খুব প্রয়োজন। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কেবিন বেডে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৈশ্বিক মহামা’রী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আসার আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিকে সুসংবাদ শোনান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি জানান, গণবিশ্বাবিদ্যালয় অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী করোনা ভাইরাস শনাক্তে কিট আবিষ্কার করেছেন।
এরপর কিটের ‘কাঁচামাল’ রিএজেন্ট আমদানির অনুমতি জন্য ঔ’ষধ প্রশাসনে দৌড়াদৌড়ি, কিটের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনার জন্য জাতীয় রোগতত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনিস্টটিউটে (আইডিসিআর) ছোটাছুটি করেছেন। সরকার ও বিদেশি সংস্থার কাছে কিটের স্যাম্পল হস্তান্তরের জন্য নানা আয়োজন, কিটের সিআরও বা এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে ধর্না দেওয়ার কাজও করতে হয়েছে তাকে। এরপর এক্সাটার্নাল ভ্যালিডেশনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেন-দরবার করতে করতে নিজেই করোনা আক্রা’ন্ত হয়ে পড়েন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গত ২৪ মে গণস্বাস্থ্যের কিটে করোনা শনাক্ত হয় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। ২৮ মে ল্যাব টেস্টেও করোনা পজেটিভ আসে তার। এর ৩ দিন পর ৩১ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক ও পুত্র বারীশ হাসান চৌধুরী করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন।
এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, রাতে স্যারের শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ হয়েছিল। শ্বাসক’ষ্ট ছিল। এখন তিনি মোটামুটি ভালো আছেন। স্যারের জন্য দোয়া করবেন।