সময় এখন ডেস্ক:
শ্রমিকরা সুদিনে মালিকদের মুনাফা এনে দিয়েছে, আজ দেশের এই দুর্দিনে তাদের ছাঁ’টাই না করার আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ছাঁ’টাইয়ের মতো অ’সন্তোষ উ’দ্রেককারী সিদ্ধান্তের খবর ম’রার ওপর খাঁড়ার ঘা’র অবস্থা হবে।
তিনি বিজিএমই এবং রপ্তানিমুখী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সমন্বয়ের আহ্বান জানান।
শুধু ব্যবসা নয়, অ’সহায় মানুষগুলোর প্রতি সহমর্মি হয়ে ছাঁ’টাই না করার জন্যও মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি আজ সোমবার তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
গণপরিবহনে দূরপাল্লায় অভিযোগ না থাকলেও শহর এলাকায় ভাড়া বৃদ্ধির কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মালিক শ্রমিকদের পাশাপাশি যাত্রীদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া না নিতে মালিক শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘরে ঘরে সুরক্ষা ও সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে, ইনশাআল্লাহ এ সং’কট মোকাবেলা করে আমরা চিরচেনা সজীবতায় ফিরে আসবো এবং সং’কটের মেঘ অচিরেই কেটে যাবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
মন্ত্রী, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরতদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, করোনা এবং অন্যান্য রোগীদের সেবায় মানবিক হোন। ইতিমধ্যে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে অনেকের মৃ’ত্যুবরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মানবিক আচরন ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য দেশের প্রথম ‘স্টেট অব দ্য আর্ট কোভিড-১৯ ল্যাব’ উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক জানিয়েছেন, করোনার কারণে বিশ্বে ভোক্তার চাহিদা কমে যাচ্ছে। দেশের পোশাক কারখানার কাজও ৫৫ শতাংশ কমেছে। এমন অবস্থায় জুন থেকেই শ্রমিকদের ছাঁ’টাই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পহেলা জুন তারিখ ধরে এটি শুরু হবে। এটি অ’নাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা। কিন্তু করার কিছু নেই। কারণ শতকরা ৫৫ শতাংশ ক্যাপাসিটিতে ফ্যাক্টরি চলছে। এ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তবে এসব শ্রমিকদের জন্য কী করা হবে; এ বিষয়ে সরকারের কথা বলছি কীভাবে এ সং’কট মোকাবেলা করা যায়। তবে এ অবস্থা হঠাৎ করে বদলেও যেতে পারে। তখন এই শ্রমিকরাই কাজে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।