স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্তদের ফুসফুস রক্ষা করতে রেমডেসিভির ‘কার্যকর’ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনায় আক্রা’ন্ত বানরের ওপর গবেষণা করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। মূলত ইবোলা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন হিসাবে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস গিলিয়াড প্রথম ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল নেচার-এ রেমডেসিভির নিয়ে প্রকাশিত এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২টি বানরকে করোনা ভাইরাসে সং’ক্রমিত করে রেমডেসিভির ইনজেকশন দেয়া হয়। এদের মধ্যে অর্ধেককে সং’ক্রমণের শুরুর দিকে এই ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তবে রেমডেসিভির দেয়ার পর কোনো বানরের শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণ দেখা যায়নি। একই সঙ্গে তাদের ফুসফুসের ক্ষ’তি কমিয়েছে ওষুধটি। এ ছাড়া রেমডেসিভিরে চিকিৎসা দেওয়া প্রাণীদের ফুসফুসে ভাইরাসও কম পাওয়া গেছে।
গবেষকদের পরামর্শ, করোনা পজেটিভ হওয়ার পর নিউমোনিয়া প্রতিরোধে রোগীদের যত দ্রুত সম্ভব রেমডেসিভির দেয়া উচিত। রেমডেসিভিরই একমাত্র ওষুধ যেটি এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মানুষের শরীরে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ এই ওষুধটি ব্যবহার করছে। এতদিন বলা হচ্ছিল, রেমডেসিভির ব্যবহারে সুস্থতার সময় কমে আসে। অর্থাৎ অন্য ওষুধ ব্যবহারে কোভিড-১৯ রোগী যে সময়ে সুস্থ হন, তার থেকে এই ওষুধে কম সময় লাগে। গত এপ্রিল মাসে মার্কিন বিজ্ঞানীরা প্রথম এ ব্যাপারে তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় কোনো মেডিকেল জার্নাল থেকে একাডেমিক বৈধতা দেয়া হয়নি। এই প্রথম এর একাডেমিক বৈধতা দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে গিলিয়াড সায়েন্সেস ঘোষণা করেছিল যে, গুরুতর আক্রা’ন্ত হাসপাতালে ভর্তি বয়স্ক এবং শিশুদের করোনা রোগের চিকিৎসায় রেমডিসিভির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশে বেক্সিমকো কোম্পানি এটি তৈরী করছে বাণিজ্যিকভাবে। একইসাথে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির কেনার কার্যাদেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে পাকিস্থানসহ কয়েকটি দেশে কয়েকটি চালান পাঠানো হয়েছে।
রেমডেসিভির কী
রেমডিসিভির হল ব্রড অ্যান্টিভাইরাল নিউক্লিওটাইড অ্যানালগ প্রো-ড্রাগ। এটি বর্তমানে কোভিড-১৯ এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ব্যবহার হচ্ছে।
8K