সময় এখন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৩ সন্তান রেখে গেছেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগা’রে নিহ’ত জাতীয় ৪ নেতার একজন- ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে নাসিম সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। এবার মন্ত্রিত্ব না পেলেও দলের সভাপতিমণ্ডলীতে থাকার পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন নাসিম।
এদিকে তার মৃ’ত্যুর খবর পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর তীব্র ও অসুস্থ উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মন্তব্যের ঘরে স্বাধীনতাবিরো’ধী বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কর্মীদের অ’শালীন, বি’কৃত মন্তব্য এবং গা’লাগাল দিতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ এর এই নেতা যু’দ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলেই তার ওপর এতটা ক্ষো’ভ জমে ছিল বলে ধারণা অনেকেরই।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার সার্জারি সফল হয়। তবুও তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেধে ছিল। স্ট্রোকের পর থেকে গত ৮ দিন তিনি অ’চেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই ছিলেন।
এরই মধ্যে পরপর দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তবে স’ঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে মোহাম্মদ নাসিমকেদেশের বাইরে স্থানান্তরের ঝুঁ’কি নিতে চাননি তার পরিবারের সদস্যরা।