স্পোর্টস ডেস্ক:
পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুতেই সম্ভাব্য প্রায় সকল সাফল্য নিজের করে নিয়েছিলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো দ্য লিমা। মাত্র ২০ বছর বয়সেই জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার, বছর খানেকের মধ্যে গড়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার হওয়ার রেকর্ড। তাও দুই দুইবার। অল্প সময়ে অর্জন করেছিলেন বিশ্বের ফুটবল বোদ্ধা, ক্রীড়াপ্রেমি ও সাবেক খেলোয়াড়দের প্রশংসা। গ্রেটদের কাতারে গণ্য করা হয় তাকে।
তার মধ্যে সাম্বা ফুটবলের নান্দনিকতার পাশাপাশি স্থান পেয়েছিল ইউরোপীয় স্টাইলের গতিময়তার মিশেল। অর্জিত সাফল্য যে এমনি এমনিই পেয়েছেন তা কিন্তু নয়। বল পায়ে ফুটবল মাঠে ক্ষিপ্র গতি আর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের কারণে প্রতিপক্ষের কাছে এক আত’ঙ্কের নামই ছিলেন রোনালদো। তাও শুধু তার সমবয়সী ফুটবলারদের নন, প্রচন্ড গতির কারনে অনেক বড় ফুটবলারও রীতিমতো ভ’য় পেতেন রোনালদোকে।
তেমনই একজন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ফুটবলার অ্যান্ডি কোল। ইংলিশ এই স্ট্রাইকারের খেলোয়াড়ি জীবনও কম সাফল্যময় নয়। ম্যান ইউ’র হয়ে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের ট্রেবলসহ জিতেছেন মোট ৯টি বড় শিরোপা, করেছেন ১২১টি গোল।
তবু প্রথম যেদিন মুখোমুখি হন রোনালদোর, সেদিন অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল কোলের। ঘটনা ১৯৯৯ সালের। তখন রোনালদোর বয়স মাত্র ২৩, অন্যদিকে কোলের বয়স ২৮। পেশাদার ক্যারিয়ারের অনেকটা পথ পাড়ি দিলেও, রোনালদোকে দেখে প্যান্ট ভেজার যোগাড় হয়েছিল অ্যান্ডি কোলের।
বিউটিফুল গেমের পডকাস্টে কোল বলেছেন, আমার মনে আছে, যখন আমি ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলাম এবং টানেলের মধ্যে দাঁড়িয়ে মাঠে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলাম। আমি মিথ্যা বলবো না, সেদিন আমার প্যান্ট ভিজে যাচ্ছিল প্রায়।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি তাকে কতদিন ধরে দেখে আসছি। আমি একজন সত্যিকারের ফুটবল প্লেয়ারের কথা বলছি। তার ঝুলিতে সবকিছু ছিলো। আমি তাকে দেখে যেন ঠিক থাকতে পারছিলাম না। তবে পরক্ষণেই মনে হলো, আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি, একই মাঠে খেলতে নামবো! তার মানে আমার সামর্থ্যও অনেক উঁচু। এটা পরাবাস্তব।