আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের সঙ্গে মুখোমুখি সহিং’সতায় ২০ ভারতীয় সেনার মৃ’ত্যুর পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার বর্তমান অবস্থা চীনের একতরফাভাবে পরিবর্তন চেষ্টার ফলেই এ ঘটনা ঘটেছে।
চুক্তি অনুসারে ওই স্থান থেকে চীনা সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘ’র্ষ বাধে। এতে হতাহতদের মধ্যে ভারতীয় কর্নেল বি. সান্তোস বাবু, হাবিলদার পালানি ও সেপাহি ওজহা রয়েছেন। খবর এনডিটিভির
পাথর দিয়ে ওই কর্নেলকে আঘা’ত করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষও পাল্টা জবাব দিয়েছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘ’র্ষ চলে। মধ্যরাতের পর তারা থেমে যায়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীভাস্তভ বলেন, ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকার বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনে চীনের একতরফা চেষ্টার পর এই ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের সং’ঘর্ষ হয়। অথচ উভয় পক্ষের মধ্যে যে চুক্তি আছে, চীনের পক্ষ থেকে তা বিবেচনার সঙ্গে অনুসরণ করা হলে এই ঘটনা এড়িয়ে চলা যেত।
তিনি আরও বলেন, পূর্ব লাদাখের সীমান্ত এলাকায় উত্তে’জনা কমিয়ে আনতে সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা অ’ব্যাহত রেখেছে চীন ও ভারত। গত ৬ জুন জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। এতে তারা উত্তে’জনা কমাতে একমত হন। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে যে ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়েও কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে।
অনুরাগ শ্রীভাস্তভ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে– মসৃণভাবেই সব কিছুর সমাধান হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার প্রতি সম্মান দেখিয়ে চীনা পক্ষ সরে যাবে। সীমান্তে নিজেদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের অংশের ভেতরেই সব তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত। চীনের কাছ থেকেও তেমনটি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং সংলাপের মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী।
তিনি বলেন, পাশাপাশি ভারতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূ-খণ্ডগত অ’খণ্ডতা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।