চট্টগ্রাম ব্যুরো:
দেশে করোনা সং’ক্রমণে নতুন আত’ঙ্ক হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। যাকে বলা যায় সাক্ষাৎ ডেঞ্জার জোন। শুরুতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ছিল করোনার মূল কেন্দ্র। কিন্তু এখন চট্টগ্রামজুড়ে সেটা বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিদিন এখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রা’ন্তের সংখ্যা। মহানগর ও জেলাগুলোতে আক্রা’ন্তের সংখ্যা আজ ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮৭ জন আক্রা’ন্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামে সর্বমোট করোনা আক্রা’ন্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৮ জনে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা আক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেছে ৩ জন। এ দিয়ে বন্দরনগরীতে মোট মৃ’তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৯ জনে। হাসপাতাল এবং বাসায় থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রামে যে হারে সং’ক্রমণ বাড়ছে, তাতে করে ঢাকাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে খুব দ্রুত। তাছাড়া চট্টগ্রামে চিকিৎসা সুবিধা ঢাকার তুলনায় আরও সীমিত। ফলে সেখানে মৃ’ত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
যে জেলাগুলোতে সং’ক্রমণ কম
দেশে করোনায় আক্রা’ন্তের সংখ্যা ১ লাখ পেরিয়েছে। খুব দ্রুতই যে এই ভাইরাসের সং’ক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মৃ’ত্যুও বাড়ছে হু হু করে। তবে এত এত খারাপ খবরের মাঝেও আশা জাগাচ্ছে দেশের কিছু এলাকা। কয়েকটি জেলায় করোনার লাগাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। আইইডিসিআর এর পরিসংখ্যান বলছে দেশের ৮টি জেলায় করোনা আক্রা’ন্তের সংখ্যা ১০০ জনেরও কম। সেই ৮টি জেলা কোনগুলো সেটাই একটু দেখে নেওয়া যাক-
নাটোরে- ৯৬, খাগড়াছড়িতে- ৯৪, বাগেরহাটে- ৮৭, সাতক্ষীরায়- ৮৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জে- ৮৬, লালমনিরহাটে- ৬৯, নড়াইলে- ৬৬ এবং মাগুরায়- ৫৫ জন।
এই জেলাগুলোতে আক্রা’ন্তের সংখ্যা কম থাকলেও তা নিয়ে বিত’র্কও আছে। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই জেলাগুলোর মানুষ করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন কম। এ কারণেই শনাক্তের সংখ্যাও কম। তবে এর বিপরীত মতও আছে। অনেকেই মনে করছেন, এসব জেলা শ্রমঘন না হওয়ায় এবং জনবসতি তুলনামূলক কম থাকার কারণে করোনার সং’ক্রমণ কম হচ্ছে।
188