লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হলে ফুসফুসে সং’ক্রমণ হতে পারে। ফুসফুসে সং’ক্রমণ হলে দেখা দেয় শ্বাসক’ষ্ট, যার ফলে মৃ’ত্যুও হতে পারে। তাই ফুসফুসকে সুস্থ রাখা জরুরি। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ ফুসফুস। ফুসফুস সুস্থ রাখার বিষয়ে খাবারের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
কী খেতে হবে?
পুষ্টিবিদদের মতে, শাক-সবজি, আলু, পটল, কুমড়া-গাজর বেশি করে খান। খোসা না ছাড়িয়ে তরকারি করে খেতে পারলে আরও ভাল। সেই সাথে আটার রুটি, ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, বার্লি ইত্যাদি খান। এতে ফুসফুসের ক্ষ’তি যেমন কম হবে, ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এছাড়া পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের জন্য ভালো। তাই সবুজ শাক, টমেটো, বিট, আলু, কলা খান নিয়মিত। আর প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ডাল, ছোলা ইত্যাদি।
ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে।
যেসব খাবার খাবেন-
কয়েকটি বিশেষ খাবার রয়েছে যা ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
১। পেঁয়াজ ও রসুন: পেঁয়াজ ও রসুন প্রদাহের প্রবণতা কমায় ও সং’ক্রমণের বিরু’দ্ধে ল’ড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যান্সার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কারস অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যেসব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান তাদের ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে ভোগার আশ’ঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়।
২। আদা: আদা কুঁচি নিয়মিত খেলে ফুসফুস ভাল থাকে।
৩। কাঁচা মরিচ: কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সং’ক্রমণের আশ’ঙ্কা কমে।
৪। হলুদ: হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। যা শরীরের বিভিন্ন জায়গার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তারকারিতে বা দুধের সাথেও খেতে পারেন।
৫। ফল ও সবজি: আপেল, পেয়ারা, শসা, সফেদা ইত্যাদি ফল ফুসফুসের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। এছাড়া গাজর, কুমড়ো, ক্যাপসিকামে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এসব সবজি।
368