বিশেষ প্রতিবেদন:
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরে একের পর এক ব্যার্থতা, দায়িত্বহীনতা, অ’যোগ্যতার কারণে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সরে যেতে হচ্ছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করেছে। ২ বছরের চুক্তিতে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই ডিজির চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া আগামীকাল থেকেই শুরু হতে পারে বলে সরকারের ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, করোনা শুরুর পর থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অ’সন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল। এর আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সময় করোনা আক্রা’ন্ত হলে মানবিক কারণে তাকে তার পদে রাখা হয়। কিন্তু সে সময় তিনি সরকারী হাসপাতালে না গিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখান থেকে রোগ মুক্তির পর তিনি প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেই বিত’র্ক ছড়িয়ে দেন।
সরকারের একাধিক মন্ত্রী বলেছেন, তার এই বক্তব্য কি নিছকই ভুল নাকি তিনি ইচ্ছে করে বিভ্রা’ন্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন এটা খতিয়ে দেখা দরকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলেছেন। এই বক্তব্যের পর তিনি যখন দু’রকম বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা নিয়েও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের অন্যতম নীতি নির্ধারক ওবায়দুল কাদের বি’রক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরু’দ্ধে অনেক অভিযোগ এবং জনগণের বির’ক্তি বাড়ছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে মুখ বুঁজে থাকতে পারে না।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ইতিমধ্যেই একজন নতুন পরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
‘জীবন চলতে থাকবে, স্থ’বির হবে না’
দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবন চলতে থাকবে, জীবন স্থ’বির থাকতে পারে না। তারপরেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। আজ রোববার (২১ জুন) গণভবন একনেক বৈঠকে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন একটু ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যতটুক সম্ভব উন্নয়নের গতিটা ধরে রাখতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এরইমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ অনেককে হারিয়েছি। দেশবাসীর কাছে এটুক বলব, আসুন সকলে মিলে দোয়া করি আল্লাহ যেন এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি দেন। এটি শুধু বাংলাদেশ বলে না বিশ্বব্যাপী সমস্যা। মানুষ যেন করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেটিই আমরা চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মনে চলবে। জীবন চলতে থাকবে, কারণ জীবন স্থ’বির থাকতে পারে না। তারপরেও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার আহ্বান জানাই।