সময় এখন ডেস্ক:
নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
সেখানে তিনি আক্ষেপ নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, যা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। করোনায় এক কর্মীর মৃ’ত্যুর পর তিনি এই ভিডিও বার্তা দেন।
একরামুল করিম চৌধুরী এমপি বলেন, সরকার ঘোষণা করল নোয়াখালীকে ১০টা আইসিইউ দেবে। এটার কোনো আওয়াজ নাই দেখি। আসলে এ ডিপার্টমেন্টটা কে চালাচ্ছে? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। কিন্তু আমার কাছেই মনে হলো, এটা আজগুবি ডিপার্টমেন্ট (বিভাগ)। এটার কোনো আগা নেই, মাথা নেই।
তিনি মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে বলেন, মন্ত্রণালয় চালাতে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি লাগে। শুধু অর্থনীতির দিকে তাকালে হবে না, পকেট ভারীর দিকে তাকালেও হবে না। কী করব এই টাকা দিয়ে, কবরে তো নিয়ে যেতে পারব না। আমি ডিসি সাহেবকে বললাম, অক্সিজেনসহ ১০ বেডের সাময়িক ব্যবস্থা করতে। টাকা যা লাগে আমি দেব।
অশ্রুসিক্ত চোখে সংসদ সদস্য একরাম আরও বলেন, চারদিকে মৃ’ত্যু। প্রথমে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, এরপর সিলেটের সাবেক মেয়র চলে গেলেন। মৃ’ত্যুর মিছিল ভারী হচ্ছে। এখন আর চোখে পানি আসে না। আল্লাহ তুমি তোমার বান্দাদের জানাবে না, কবে এই মৃ’ত্যুর মিছিল শেষ হবে।
এবার করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের দাবি নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীরা
এবার করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের দাবি করল আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিকভাবে কেবল আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবহার করা হবে এই ভ্যাক্সিন। পরবর্তীতে বৃহৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দেওয়া হবে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
গবেষকরা আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স সংগ্রহ করে সেটার ভিত্তিতে তৈরি করেছেন এই ভ্যাক্সিন। যদিও তারা এখনও এই টিকার নাম প্রকাশ করেননি।
ভ্যাক্সিনের বিষয়ে গবেষক ডা. ওলাদিপো কোলাওলে বলেছেন, বৈশ্বিক এই মহামা’রীর একটা সমাধান দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই আমরা এটি তৈরি করেছি। এই টিকা গুজব কিংবা বাড়াবাড়ি নয়, সত্যিকার অর্থেই তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা একাধিকবার প্রয়োগ করে এটার কার্যকারিতা যাচাই করেছি। প্রাথমিকভাবে এটা কেবল আফ্রিকানদের জন্য তৈরি। তবে অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও এটা কাজ করবে। অবশ্য বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করতে আরও ১৮ মাস প্রয়োজন হবে।
অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর আমরা এটা তৈরি করতে পেরেছি। আসলে আমরা বুঝতে পেরেছি যে ওষুধ নয়, করোনার ভ্যাক্সিন প্রয়োজন। সে কারণেই আমরা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগী হই,- যোগ করেন তিনি।
এই ভ্যাক্সিন তৈরি করতে ৭.৮ মিলিয়ন নাইরাসের যোগান দিয়েছে নাইজেরিয়ার ট্রিনিটি ইমুনোডেফিসিয়েন্ট ল্যাবরেটরি ও হেলিক্স বায়োজেন কনসাল্ট।
161