সময় এখন ডেস্ক:
অবশেষে সরানো হলো বিত’র্কিত সেই ছাত্রদল ও ড্যাব নেতা ডা. ইকবাল কবীরকে। কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যাসিস্টেন্স শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ডা. ইকবালের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তিনি একসঙ্গে ৪টি পদের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি সাম্প্রতিক সময় সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদদপ্তরের মহাপরিচালকের পৃষ্ঠপোষকতায় একসঙ্গে ৪টি পদ দখল করে ছিলেন। পরিচালক (পরিকল্পনা), লাইন ডিরেক্টর (পরিকল্পনা), বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ইমার্জেন্সি কোভিড রেসপন্স প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান এবং এডিবির অর্থ সহায়তায় ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স প্রজেক্ট অন কোভিড-১৯’ এর প্রকল্প প্রধানের দায়িত্বও পালন করছিলেন।
তার একসঙ্গে চারটি পদে থাকা নিয়ে ক্ষু’ব্ধ হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি মহাপরিচালককে ডেকে একটি লোক কীভাবে ৪টি পদে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর প্রেক্ষিতে আজ তাকে ওএসডি করা হলো বলে মনে করছেন অনেকে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এডিবির এই প্রকল্প থেকে অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীরের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. আমিনুল হাসানকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তাপুষ্ট কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যাসিস্টেন্স শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
একই প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল কবীরকে বর্ণিত প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগের আদেশটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সাবেক এই ছাত্রদলের ক্যাডার, পরবর্তীতে বিএনপিপন্থ চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে করোনা মোকাবেলার সমস্ত দায়িত্ব। আর সেই ড্যাব নেতাই করোনা মোকাবেলায় নিজের ইচ্ছামতো কেনাকাটা করছেন। যে কেনাকাটাগুলো ‘বালিশকাণ্ড’ -কেও হার মানিয়ে দিয়েছে। শুধু পিপিই বা অন্যান্য সামগ্রী নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশে সফটওয়্যার কিনতে তিনি যে মূল্য প্রাক্কলন করেছেন, তা ভ’য়াবহ।
অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ৪টি ওয়েবসাইট উন্নয়নের খরচের জন্য ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ৫টি ডাটাবেজ তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ৫টি সফটওয়্যারের জন্য ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এছাড়াও অন্যান্য যে খরচগুলো ধরা হয়েছে, তা আরেকটি নতুন ‘বালিশকাণ্ড’র মতো ঘটনা।
1.2K