আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা-ভারতের গোল’যোগ যখন চলমান, ঠিক তখন মাঝে দক্ষিণ চীন সাগরে আ’ধিপত্য বাড়ানোকে কেন্দ্র করে জাপানের সঙ্গেও চীনের বিবা’দের মাত্রা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
চীন সাগরের সামনেই প্যাট্রিয়ট পিএসি থ্রি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে জাপান। সরাসরি যার লক্ষ্য চীনের দিকে। শুধু তাই নয়, জাপান জানিয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই ৪টি সেনাঘাঁটিতে পিএসি থ্রি এমএসই মিসাইল বসানো হবে। যেগুলোর আগে যা রেঞ্জ ছিল, তার থেকে বাড়িয়ে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত আঘা’ত করতে পারে।
চীন সীমান্তে জাপানি সেনার সংখ্যাও বেড়েছে লক্ষ্যনীয় হারে। শুধু তাই নয়, এয়ার ডিফেন্স অর্থাৎ আকাশপথে নজরদারিও বাড়াচ্ছে জাপান।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টোকিওর সঙ্গে বেইজিংয়ের চরম বিবা’দ শুরু হয়েছে।
এবার করোনার ভ্যাক্সিন তৈরিতে মাঠে নেমেছে জাপান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে করোনার সবচেয়ে ভ’য়াবহ সময় যাচ্ছে এখন, প্রচুর সং’ক্রমণ দেশে দেশে। এই মহামা’রীর হানায় স্থ’বির বিশ্ব। এর প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। দেশে দেশে চলছে ভ্যাক্সিন তৈরির জোর চেষ্টা। এবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে এবং জনগণকে দ্রুত ভ্যাক্সিন সুবিধা দিতে মাঠে নেমেছে জাপান।
২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ভ্যাক্সিনের ১০ লাখ ডোজ উৎপাদন ক্ষমতা প্রস্তুত করবে গবেষকদের একটি দল। জাপানের ভ্যাক্সিনটি এখনো উন্নয়ন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জাপানের নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের আরও কয়েকটি কোম্পানি কয়েকশ কোটি ভ্যাক্সিন ডোজ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাক্সিন জাপান আমদানি করতে পারবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। তাই দেশটির সরকার সং’ক্রমণ সামাল দিতে ভ্যাক্সিন সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
দেশটি প্রথমে কেবল ২ লাখ ডোজ উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করছিল। পরে কাঁচামালের সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে ভ্যাক্সিন উৎপাদন সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ তাদের তৈরি ভ্যাক্সিনটির জন্য অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশাবাদী তারা।
ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে চুক্তি করে অ্যানজিস ডিএনএ ভ্যাক্সিন তৈরি করছে; যাতে করোনা ভাইরাস থেকে জেনেটিক উপাদান নিয়ে রোগের বিরু’দ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা যায়।