আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল’ (এলএসি) এর ভারতীয় অংশে চীনের সেনারা একটি কাঠামো নির্মাণের চেষ্টা চালানোর কারণে গোল-যোগের ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তে’জনা বিরাজ করছে।
এই ঘটনার মাঝেই নেপালের প্রায় ১০টি জায়গায় মোট ৩৩ হেক্টর জমি দখ’লের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরু’দ্ধে। নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয় এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, চীন তিব্বতে নেপালি জমি ‘দখ’ল’ করার জন্য বর্ধমান সড়ক নির্মাণ ব্যবহার করছে এবং ভবিষ্যতে এই অঞ্চলগুলোতে সীমান্ত ফাঁড়ি স্থাপন করতে পারে।
নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে সীমান্তে নেপালের জায়গা দখ’লের চেষ্টা করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।
বাগডারে খোলা ও কর্নালি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হুমলা জেলাতেই ১০ হেক্টর জমি দখ’ল করে নিয়েছে চীন। রাসুয়া জেলায়ও ৬ হেক্টর চলে গেছে চীনাদের অধীনে।
তিব্বতের স্বশাসিত অঞ্চলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে রাস্তা তৈরির কাজ করছে চীন। যার ফলে নদীগুলো নেপালের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিকভাবেই প্রায় ১০০ হেক্টর জমি চলে যেতে পারে তিব্বতের অংশে। আর সেখানেই আউটপোস্ট তৈরি করে ফেলতে পারে চীন।
সীমান্ত রক্ষায় মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কিনছে ভারত
সম্প্রতি সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ভারতীয় সেনাকে বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সেই অর্থ দিয়েই আমেরিকা থেকে কেনা হচ্ছে বিশেষ সরঞ্জাম।
সূত্রের খবর, ইস্টার্ন লাদাখ সেক্টরে বসানোর জন্য এসব উন্নত সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে। বিশেষ করে হুইটজার কামানের কথাই বেশি বলা হচ্ছে।
তিন বাহিনীকেই নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী সামরিক সরঞ্জাম কেনার আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র। ৫০০ কোটি টাকায় যে কোনও সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের সমস্যায় আরও বেশি করে তেরি থাকতে পারে ভারত।