আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডা. হেয়ারকাট নামে বিখ্যাত গুয়েন ভ্যান এনঘিয়েম (৫৭) কে ৬ বছরের কারাদ’ণ্ড দিয়েছে ভিয়েতনামের একটি আদালত। গতকাল মঙ্গলবার তাকে এ সাজা শোনানো হয়।
জানা গেছে, অভিনব কায়দায় গ্রহাকদের চুল কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লাইভে স্ট্রিমিং করতেন তিনি। আর চুল কাটার সময় লাইভেই সরকারের সমালোচনা করতেন। এই অপরাধে তাকে ওই সাজা দেয় দেশটির আদালত।
কিন্তু আদালতে নিজের পক্ষে কোনো আইনজীবী রাখতে চাননি গুয়েন। এর আগে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তাকে হোয়া বিনহ প্রদেশে আটক করা হয়। ভিয়েতনামের সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদ অ’মান্য করে সরকারবিরো’ধী গুজব তৈরি এবং তা ছড়িয়ে দেওয়া, সরকারের বিরু’দ্ধে নথি তৈরির অভিযোগও তোলা হয় তার বিরু’দ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী ফাম থি জুয়ান গণমাধ্যমকে বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার আমার স্বামী শুনানির সময় নিজের পক্ষে কোনো আইনজীবী রাখতে রাজি হননি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী কোনো উকিল ভাড়া করতে রাজি হননি। তিনি শুধু আমাকে বলেছেন, কয়েক বছর তিনি পরিবারের বাইরে থাকছেন। সে কারণে বাচ্চাদের এবং আমার দেখাশোনা নিজ থেকে করতে বলেছেন।
জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এবং সামাজিক বিষয়ে গুজব তৈরি ও ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দিতেন তিনি। এজন্য নিজের নামে, ডা. হেয়ারকাট, প্রফেসর হেয়ারড্রেসার, মং বি হাইস্কুল স্টুডেন্টস নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট চালু করেন।
এদিকে সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট লে ডং ভোভা বলেছেন, আমি জাতিসংঘে তার ব্যাপারে আপিল করব। এই লোক যে কথাগুলি বলছেন, তা ভিয়েতনাম রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যে কোনো কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা এই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। ভিয়েতনামকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলতে হবে।
সূত্র: রেডিও ফ্রি এশিয়া
39