সময় এখন ডেস্ক:
সিন্ডিকেট ভেঙে সব প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারী হসপিটালগুলোর জন্য অক্সিজেন সরবরাহের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল তিনি সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানকে এই নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
এতে গত ৫ বছর ধরে চলা একটি সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গেল ৫ বছরে কোন দরপত্র প্রকাশ না করেই বিশেষ প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করে আসছিল।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ কোভিড–১৯–এ আক্রা’ন্ত ব্যক্তিদের অবস্থা জটিল হলে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়। সরকারি হিসাব বলছে, রোগী সামলাতে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার যা দরকার, আছে তার অর্ধেক। স্বল্পতা আছে আনুষঙ্গিক সরঞ্জামেরও। বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থায় অক্সিজেন সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে অনেকটা ঘা’টতি পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে ১৯টি এবং দেশের ৮টি বিভাগে আরও ৬৪টি হাসপাতাল বাছাই করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, রাজধানীর বাইরে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ৩ হাজার ২০০টি এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী (অক্সিজেন মাস্ক, ফ্লোমিটার, চাবি, ট্রলি) আছে ২ হাজার ৭৩৯ সেট। রোগীর চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার আরও দরকার ৩ হাজার ৪৫টি এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী ৩ হাজার ১৮৯ সেট।
সরকারি হিসাবে রাজধানীর জন্য আরও কত অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার, তার উল্লেখ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্যান্য হাসপাতালের মতো রাজধানীতেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের স্বল্পতা রয়েছে।
করোনার মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ভাঙলো
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আবার রেকর্ড হয়েছে। প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে।
মঙ্গলবার নতুন এই রেকর্ড হয়। রপ্তানি আয় কমার পরও রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বৈদেশিক অনুদান ও ঋ’ণের উপর ভর করে রিজার্ভ এই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর আগে, গত ৩ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ রেকর্ড ৩৪ বিলিয়ন ডলার উচ্চতায় ওঠে। তার আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ রেকর্ড ৩৩ বিলিয়ন ডলার উচ্চতায় ওঠে ২০১৭ সালের ২১ জুন। সেইদিন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩০১ কোটি ডলার। এরপর কিছুটা কমলেও ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর, ২ নভেম্বর ও ২৮ ডিসেম্বর আবার ৩৩ বিলিয়ন ডলারে ফেরে।
এদিকে, গত মে মাসে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ (১.৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত এপ্রিল মাসের চেয়ে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার বেশি। এছাড়া জুনের ২৪ দিনে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে।
আন্তর্জাতিক মানদ’ণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদানি ব্যয়ের সম্প্রতিক গতিধারা বিবেচনায় নিলে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
1.2K