স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক:
ইতালি এবং ফ্রান্সে নদীর পানিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার বাংলাদেশেও পরিশোধিত পানির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই সরবরাহের পানিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখবে ঢাকা ওয়াসা। ঢাকা ওয়াসা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিশদ গবেষণা চলছে।
ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে চাহিদা মেটে না বলে নদীর পানি বিশুদ্ধ করে, সেই পানিতেই জীবনধারণ করতে হয় বহু মানুষকে। ওয়াসার পানি শোধনাগারে যেভাবে পানি শোধন হয় তা কতোটা- করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ? কিংবা করোনারোগীর ব’র্জ্যও তো পড়ছে পয়ঃ নিষ্কাশন লাইনে। কিছু ক্ষেত্রে সেই পানিও আবার মিশছে নদীতে।
যদিও ওয়াসার মহাপরিচালকের দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে তবে পয়ঃ ব’র্জ্যের লাইনের সঙ্গে নদীর পানির সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়াসার মহাপরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, পানি যেটা আমরা উৎপন্ন করি, ডিস্ট্রিবিউট করি এবং মানুষ যেটা নেয়, ওটার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই কোভিডের। হ্যাঁ স্যুয়ারেজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতেই পারে এবং এটার উপরে আমরা স্টাডি করছি। ৩ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। ৩ ঘণ্টার বেশি স্যুয়ারেজের পানিতে কোভিড বাঁচে না, প্যারিসের স্টাডিতে বলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোধনাগারে যেহেতু ক্লোরিন মিশিয়ে পানি শোধন করা হয়, তাই সেখানে করোনা দূর হয়ে যাওয়ার কথা। তবে এই কথাও জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়, তাই বিশদ গবেষণার প্রয়োজন আছে।
তবে পানিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব বা সেটি থেকে মুক্ত হতে যে পরিমাণ গবেষণা ও প্রাযুক্তিক সহায়তা প্রয়োজন ওয়াসার সেই সক্ষমতা আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পানি বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে প্যারিসের বিখ্যাত সেইন নদী থেকে পানি নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষ মূলত রাস্তা ও বাগান পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করেন। সম্প্রতি সেই পানিতে মিলেছে করোনার অস্তিত্ব। শুধু তাই নয়, ইতালির পয়ঃ নিষ্কাশন লাইনেও পাওয়া গেছে করোনা।
ওদিকে স্পেন জানাচ্ছে, মানবদেহে করোনা শনাক্তের ৪০ দিন আগে বার্সেলোনার পানিতে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এসব গবেষণা আর তথ্য ভ’য় জাগাচ্ছে বাংলাদেশেও।