লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে আমরা কম বেশি সবাই একটা কথা শুনেছি- প্রতিদিন সকালে সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটলে শরীরে রোগ বাসা বাধতে পারে না। অনেক গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়েছে এই তথ্য। খালি পায়ে হাঁটার সঙ্গে আমাদের শরীরের ভালো থাকার সরাসরি যোগ রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
সুস্থতার জন্য তাই প্রতিদিন ভোরে খালি পায়ে কিছুক্ষণ ঘাসের ওপর হাঁটাহাঁটি করা জরুরি।
♣ গবেষকরদের মতে, সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটার সময় আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে মানসিক অ’স্থিরতা দূর হয়। এছাড়া মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার ফলে দূর হয় অ’নিদ্রার সমস্যা।
♣ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করা উচিত বলে জানিয়েছেন রোগ বিশেষজ্ঞরা। এতে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
♣ খালি পায়ে হাঁটলে আমাদের পায়ের তলায় থাকা কিছু প্রেসার পয়েন্ট অ্যাক্টিভ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক এবং শরীর আরও বেশি করে অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে।
♣ সারা শরীরৈর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন কিছু সময় খালি পায়ে সবুজ ঘাসে হাঁটুন।
♣ হৃদযন্ত্রের রোগে আক্রা’ন্ত হওয়ার আশ’ঙ্কা অনেকখানি হ্রাস পায় শুধুমাত্র খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটাহাঁটি করলে।
♣ খালি পায়ে হাঁটলে বেশি বেশি রক্ত পৌঁছে যেতে শুরু করে হৃদযন্ত্রে। ফলে মাংসপেশী এবং হাড় আরও মজবুত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
♣ আমাদের পায়ের তলায় থাকা একাধিক সেন্সারি নার্ভ খালি পায়ে হাঁটার সময় অ্যাক্টিভ হয়ে গিয়ে শরীরের ভেতরে পজেটিভ এনার্জি তৈরি করতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
♣ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোরে খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে পায়ের তলায় থাকা একাধিক প্রেসার পয়েন্টে চাপ পরতে শুরু করে। এসব প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে চোখের সরাসরি যোগ রয়েছে। ফলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করে একই সঙ্গে।
তথ্য: বোল্ডস্কাই