লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
সুপ্রাচীন কাল থেকেই শরীর এবং মনের প্রশান্তিতে সঙ্গীতকে এক মোক্ষম দাওয়াই হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে এই পদ্ধতির কথা উল্লেখ আছে। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোতে নির্দিষ্ট মাত্রায় ত্বরণ ঘটিয়ে সঙ্গীত সম্পূর্ণ শরীর ও মনকে এক অনন্য অনুভূতি দিতে সক্ষম।
তাই দেরি না করে স্পিকারের ভলিউমটা বাড়িয়ে দিন। কিংবা হেডফোনটা কানে গুঁজে নিন, শুনুন পছন্দের সব গান। কারণ, ‘গান শোনার অভ্যাস থাকলে মন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু রোগ থেকেও মুক্তি মেলে।’ আর্ন্তজাতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গান শোনা যাদের অভ্যাস, এ খবর তাদের পুলকিত করবেই। একই সঙ্গে জেনে নিতে পারেন গান শুনে কোন কোন রোগ-বালাই দূরে রাখবে। গান শোনার সময় মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখন মস্তিকের সৃজনশীল কর্মক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে ক্রিয়েটিভিটি বা গভীর চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গান শোনার কারণে মস্তিষ্কের ভেতরে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এতে মন অনন্দে ভরে ওঠে। তাই যখনই অতিরিক্ত মানসিক চাপ বোধ করবেন গান শুনবেন। অন্তত ১৫ মিনিটের গান, মহুর্তেই মানসিক চাপ দূর করবে। শুধু স্ট্রেস নয়, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায় গান। এতে স্বাভাবিক জীবন দীর্ঘ হয়।
অনেকে গানকে ঘুমের ওষুধ বলেন। কথা কিন্তু সত্য। ঘুম না পেলে একটানা কিছুক্ষণ গান শুনলে ঘুমের উদ্রেক হয়। তাই রাতে ঘুম না আসলে, গান শোনার পেছনে আধ ঘণ্টা খরচ করুন। অনিদ্রা পালাবে। জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক প্রমাণ করেছেন, নিয়মিত গান শোনার অভ্রাস থাকলে ওজন কমে। গান শোনার সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার চাহিদা লোপ পায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বাড়ে না।
বিখ্যাত আমেরিকান লেখিকা জোডি পিকোল্ট বলেন, ‘সঙ্গীত হলো স্মৃতিশক্তির নিজস্ব ভাষা।’ গান শোনার সঙ্গে স্মৃতিশক্তির নিবিড় সম্পর্ক আছে। গান শোনার সময় মস্তিষ্ক খুব দ্রুত কাজ করে। ফলে স্মৃতিশক্তিও বাড়তে শুরু করে।