সময় এখন ডেস্ক:
মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেই ২০১৩ সালে, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ২০১৮ সালেও। এই চিত্র দেখে রীতিমত হতভম্ভ অভিযানকারী দল। এই ওষুধে রোগ নিরাময় দূরের কথা, রোগীর কী ক্ষতি হয়, না নিয়ে শঙ্কিত তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় দুটি ওষুধের দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে বেরিয়ে আসে এই চিত্র। এ সময় ‘জননী’ এবং ‘নুরানি’ নামের দুই ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ মেয়াদহীন ওষুধ সেখানেই ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল। তিনি জানান, দুটি ফার্মেসিতে ১০ মিনিটেই প্রায় শতাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পান তারা। দুটি দোকানেই ২০১৩ ও ২০১৫ সালের এক্সপায়ার ডেটের বেশকিছু ওষুধও বিক্রি হচ্ছিল দেখা গেছে।
জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘এক-দুদিন কিংবা এক দুই মাস হলেও মেনে নেয়া যায় যে অসাবধানতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ৫ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে বিক্রি করে? এটা স্পষ্ট যে তারা বাড়তি মুনাফার লোভে এসব ওষুধ বিক্রি করছে। আর এসব ওষুধ খেয়ে রোগী নিরাময়ের বদলে স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতায় ভুগছেন।’
অভিযান চলাকালে ওষুধের দোকান দুটির বিক্রেতাকে এসব বিষয়ে নানা প্রশ্ন করলেও তারা কোনো জবাব দিতে পারছিলেন না। তারা মাথা নিচু করে চুপ থাকেন।
এই কর্মকর্তা জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করলে আরও কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান।
জাফরুল্লাহর হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, ২৫ লাখ টাকা জরিমানা
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এতে তার হাসপাতালকে ১৫ লাখ এবং ফার্মাসিউটিক্যালসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় অভিযান শুরু করে র্যাব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। র্যাব সদর দপ্তরের সারওয়ার আলম এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান, মেডিকেল বোর্ড অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্টের মেডিকেল অফিসার দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ পরিদর্শক নাহিদ আল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলসের বাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত অধিকাংশ কাঁচামাল মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদ উত্তীর্ণ সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে। এজন্য ১৫ লাখ টাকা জরিমানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ সিলগালা করেন তিনি।