অর্থনীতি ডেস্ক:
ধর্মঘটের নাম দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘যে কোনও ধরনের নৈরাজ্য কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ রবিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ২০১৭ সালের লভ্যাংশ বাবদ ৪০ কোটি টাকার ডিভিডেন্ডের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম, এমডি সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান ও প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আর যদি অংশ না নেয় তবে দলটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।’
নির্বাচনের আগে সরকারে কোনও ধরনের পরিবর্তন আসবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যেভাবে আছে হয়তো সেভাবেই থাকবে। যা প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছেন।’
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জোট হয়েছে। তা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন জোট গঠন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
সাধারণ বীমা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ব্যবসা করতে পারে না এ ধরনের মন্তব্য ঠিক নয়। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজ তারা ২০১৭ সালের লভ্যাংশ বাবদ ৪০ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড সরকারের তহবিলে জমা দিলো। বর্তমান সরকার ব্যবসা করে না। তবে কিছু কিছু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা ভালো। কারণ, সাধারণ বীমা সরকারের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান।’
তিনি বলেন, ‘বীমার দাবি পরিশোধ করা হয় না আগে শুধু এই অভিযোগই শুনতাম। এখন আর তা হয় না। এখন পরিশোধ করা হয়।’
অনুষ্ঠান শেষে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের জন্য সাধারণ বীমা কর্পোরেশন সরকারকে ৮০ কোটি টাকা ট্যাক্স ও ৯০ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে। সাধারণ বীমার বিজনেস প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হয়েছে। ২০১৭ সালে কর্পোরেশনটি সাড়ে ৩শ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করেছে। ৩০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। এ বছর এই লাভের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা হবে বলে তারা আশা করছেন।’