আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ১২০০ বছরের পুরানো জলপাই তেলের সাবান তৈরির একটি কারখানা আবিষ্কার করেছেন। ইসরায়েলে পুরানো নিদর্শন কর্তৃপক্ষ (আইএএ) রবিবার জানিয়েছে, দেশের মধ্যে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন কারখানা এটি।
সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহাতের বেদুইন শহরে ইসলামিক আমলের একটি ধনী বাড়ির ভেতরের একটি খননকেন্দ্রে এই কারখানা উন্মোচিত হয়েছে।
আইএএ’র তথ্য অনুসারে, সাবান তৈরির প্রক্রিয়া চলাকালীন জলপাইয়ের তেল ব্যবহৃত হত মূল উপাদান হিসেবে, যার সাথে মেশানো হতো সল্টওয়ার্ট গাছপালা পুড়িয়ে পাওয়া ছাই যাতে থাকতো পটাশ এবং পানি।
মিশ্রণটি প্রায় ৭ দিন ধরে তৈরি করার পর তরল পদার্থটি একটি অগভীর পুলে স্থানান্তর করা হতো, যেখানে সাবানটি প্রায় ১০ দিন রাখা হতো যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটি শক্ত হতো এবং বারের মতো করে কাটা না যেত। এরপর বারগুলো ভালোভাবে শুকানোর জন্য স্তুপ করে রাখা হতো এবং ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত পণ্য প্রস্তুত হতে সময় লাগতো আরও ২ মাস।
রাহাতে খোঁজ পাওয়া এ কারখানাটি সাবান শিল্পের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
এছাড়া প্রাচীনকালের আরেক ধনী পরিবারের বাড়ির ভূগর্ভস্থ জায়গায় একটি বৃত্তাকার চুনাপাথরের গেম বোর্ড পাওয়া গেছে যা ‘উইন্ডমিল’ নামে পরিচিত কৌশলভিত্তিক একটি খেলার জন্য ব্যবহৃত হতো। ২য় এবং ৩য় শতাব্দীর (রোমান সময়কাল) প্রথম থেকেই এর অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়।
‘হাউন্ডস অ্যান্ড জ্যাকলস’ বা ‘৫৮ হোলস’ নামে কাছাকাছি সময়ের আরও একটি পরিচিত গেম বোর্ডও পাওয়া গেছে। এই খেলাটি প্রথমে মিশরে শুরু হয়েছিল এবং এটি পরে তা ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকার অন্যান্য অংশ ও মেসোপটেমিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিকে স্বাগত জানালেন জাতিসংঘ প্রধান
ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আশা প্রকাশ করেছেন যে এটি দুদেশের নেতাদের জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ তৈরি করবে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের যৌথ বিবৃতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েল অংশ করে নেয়ার পরিকল্পনা স্থ’গিত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুজারিক বলেন, মহাসচিব এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করছেন, এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের জন্য পুনরায় অর্থবহ আলোচনা শুরু করার সুযোগ তৈরি করবে। যার ফলে জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনা, আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান আসবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহাসচিব সংলাপ, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আরও সম্ভাবনা খুলতে সব পক্ষের সাথে কাজ চালিয়ে যাবেন।
ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার পৃথকভাবে ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। ইসরায়েল তাদের ভূমি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অ’নির্দিষ্টকালের জন্য স্থ’গিত রাখবে এমন প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে চুক্তিটি করা হয়েছে।
এ চুক্তির ফলে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাওয়া প্রথম কোনো উপসাগরীয় দেশ হতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।