ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ধ**ণের অভিযোগ এনে ১০ বছরের এক শিশুর বসয় বাড়িয়ে ২৫ বছর দেখিয়ে তার বিরু’দ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধ**ণের ফলে ওই নারী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জমিজমার বিরো’ধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ দারুল উলুম হামিউছুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৩য় জামাতের ছাত্র মো. আল-আমিনের নামে এ মামলা দিয়েছে।
ভোলার নারী ও শিশু আদালতে একই থানাধীন ৯নং ওয়ার্ডের আ. বারেকের মেয়ে সুরমা বেগম অভিযোগ দায়ের করেন- বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসামি মো. আল আমিন ওরফে নাঈম তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। বর্তমানে সে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মামলায় আল-আমিনের বয়স ২৫ বছর উল্লেখ করা হয়।
তবে জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী আল-আমিনের বয়স ১০ বছর ৭ মাস ১৮ দিন।
ভিক্টিম পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলে মো. আল-আমিন এখনও বিছানায় প্রস্রাব করে। হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ৩য় জামাতে পড়ার জন্য আল-আমিনকে রাত-দিন হুজুরের অধীনে থাকতে হয়।
দুলার হাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি। ১০ বছরের শিশুর সঙ্গে সম্পর্কের ফলে ২৫ বছরের নারী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, বিষয়টা হাস্যকর। আদালতে করা মামলায় পুনরায় সঠিক তদন্তের আলোকে প্রকৃত আসামিকে চিহ্নিত করে রিপোর্ট দেয়া হবে।
একসঙ্গে ৩ নবজাতকের জন্ম
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলাতে রহিমা বেগম নামের এক নারী সিজার ছাড়াই একসঙ্গে ৩টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে তিনি সন্তান প্রসব করেন। ৩ সন্তানই মেয়ে।
রহিমা বেগম উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউরি গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী। এক সঙ্গে ৩ সন্তান জন্মের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পরলে নারী-পুরুষ তার বাড়িতে ভিড় করেন।
৩ সস্তানের শারীরিক অবস্থা ভালো। মাও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা মা-মনি প্রজেক্টের প্যারামেডিক্স নাইস খাতুন। তিনি বলেন, সিজার ছাড়াই তার হাতেই একে একে ৩টি সন্তান প্রসব হয়েছে। পরিবারটি খুবই গরিব। ৩ সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তানটির ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম, ২য় সন্তানটির ওজন ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ও ৩য় সন্তানটির ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। তাদের শিশু ডাক্তার দেখানো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা না থাকায় তারা ডাক্তার না দেখিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। ওষুধ কিনে খাওয়ার টাকা পর্যন্ত নেই। সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
নবজাতক ৩টির বাবা আব্দুস সালাম বলেন, তার ঘরে ৪ বছরের আরেকটি ছেলে সন্তান রয়েছে।