সময় এখন ডেস্ক:
পরিবহন ধর্মঘটে রাজধানীতে বিআরটিসি ছাড়া কোনো বাস চলাচল করছে না। রবিবার সকালে রাস্তায় বিআরটিসি বাসের সংখ্যা তেমন না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমে।
রাজধানীর ২১টি ডিপো থেকে বাসগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বাসেই উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসগামী কর্মজীবী মানুষকে দৌড়ঝাঁপ করে বাসে উঠতে দেখা গেছে।
তবে নারী যাত্রীদের বাসে উঠতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। জায়গা না পেয়ে বাসে উঠতে অনেক নারী যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কল্যাণপুরে কথা হয় রাজিয়া নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, শাহবাগ বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে তার বাবা ভর্তি। তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে তিনি সেখানে যাবেন। কিন্তু ভিড়ের কারণে বাসে উঠতে পারছেন না। আবার সিএনজিতেও ভাড়া বেশি।
মহাখালী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাশেদ জানান, দুপুরে পরীক্ষা থাকলেও সঠিক সময়ে ভার্সিটিতে পৌঁছাতে পারছেন না। যে বাস (বিআরটিসি) আসছে তাতে যাত্রীর চাপ বেশি। সর্বশেষ তিনি হেঁটেই রওনা দেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) ডিজিএম (অপা.)-২ কাজী নাসিরুল হক বলেন, ‘রাজধানীর প্রতিটি ডিপো থেকে এসি, নন-এসি, ডাবল ডেকার- সব বাস চলছে। গণপরিবহন ও বিআরটিসি রাজধানীতে যে পরিমাণ যাত্রী বহন করে সেই তুলনায় অপ্রতুল। যা যাত্রীদের সার্ভিস দিতে পারছে না। তবুও ধর্মঘটে অনেক যাত্রী বিআরটিসির মাধ্যমে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।’
শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে শাজাহান খান- ‘কোনো মন্তব্য নয়’
কর্মসূচি ডাকা সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান। তার সম্মতিতেই এই কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিকরা। ধর্মঘট বিষয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে এ ব্যাপারে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে গিয়েছিলেন। তবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেছেন এবং কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হননি।
সচিবালয়ের দপ্তর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাজাহান খান সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান। এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে করতে এগিয়ে গেলে মন্ত্রী যেতে যেতে বলেন, ‘কোনো মন্তব্য নয়।’