সময় এখন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও স্বৈরাচারী সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘কে নির্বাচনে এলো, না এলো- তা নিয়ে আমরা পরোয়া করি না, তাদেরকে গোণার টাইম নাই। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী তাই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। নির্বাচন না করলে সরকারের পরিবর্তন হবে না।’
রবিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন, শান্তি এবং জীবনের নিরাপত্তা চায়। তারা আশা করছে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে সেটা পেতে পারে। শান্তির জন্য পরিবর্তন শুধু জাতীয় পার্টি দিতে পারে। আর কেউ পারবে না।’
নিজের শাসনামলের শান্তির কথা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাস্তার ধারে লাশ পড়ে থাকে, মানুষ বিচার পায় না। ক্ষমতায় গেলে দেশে খুন-হত্যা বন্ধ হবে। ব্যাংক লুট হবে না, গায়েবি মামলা হবে না। আমরা মানুষকে সুখ-শান্তি দেবো। যদি নির্বাচনে কারচুপি না হয় তাহলে জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসবে।’
এরশাদ বলেন, ‘আগে নির্বাচনে যে উৎফুল্লতা দেখেছিলাম এখন সেটা নেই। সরকার বলছে, যথাসময়ে নির্বাচন হবে আর তাদের প্রতিপক্ষ বলছে ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তবে জাতীয় পার্টি যেকোনও সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। যদি সব দল নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে আমরা মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করবো।’
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ও নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ধ্বংসে নয়, উন্নয়ন ও কল্যাণে বিশ্বাস করে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে গুম-খুন ছিল না। জাতীয় পার্টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। জনগণের ভোটে জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসবে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জিয়াউল হক মৃধা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় পার্টির সভাপতি ফয়সাল হোসেন চিশতিসহ অনেকে।
