সময় এখন ডেস্ক:
ফোনে যা খুশি বলা যেতেই পারে, সেটা সবার স্বাধীনতা আছে। তাই বলে আড়িপাতা তো অনৈতিক কাজ। এমনটাই মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এছাড়া সেই ফোন আলাপের কথা, কিছু মিডিয়া প্রচার করে সরকারের অনৈতিক কাজকে সমর্থন করেছে।’ বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকালে অাশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় ঐকফ্রন্টে যোগদানের কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওপর এসব আক্রমণ ও হামলা-মামলা হচ্ছে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় যাবৎ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অথচ এখন বহিরাগত কিছু লোক পিএইচএ ভবনের মূল ফটক ভেঙে নিয়ে গেছে। ভেতরে প্রবেশ করে নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে। এছাড়া অন্য কর্মীদেরও মারধর করেছে তারা। এসব অন্যায় কাজে বাধা দেওয়া তো দোষের কিছু না।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি ফোনে আমার লোকদের এসব ঘটনা প্রতিহত করার কথা বলেছি। নারীদের নির্যাতনের অভিযোগে এখনও কেন মামলা দায়ের করা হয়নি, এসব বিষয়ে বলেছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে আমরা একসঙ্গে যা খুশি বলতেই পারি। আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করার অধিকার কারো নেই। এছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর জন্য ফোনে পরামর্শ দেওয়া দোষের কিছু নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাশকতার পরিকল্পনা: ডা. জাফরুল্লাহর ফোনালাপ ফাঁস (অডিও)
গণবিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা বাবুর সাথে ফোনালাপে জাফরুল্লাহর ঘৃণ্য পরিকল্পনার তথ্য উঠে এসেছে। পরিকল্পিতভাবে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সরকারকে দায়ী করার চেষ্টার ষড়যন্ত্র বেরিয়ে এসেছে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে।
এসব ঘটনাকে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা বাবুর সাথে ফোনালাপে তার এই পরিকল্পনার তথ্য উঠে আসে। কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা বিদেশীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রের তথ্যও উঠে এসেছে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে। পরিকল্পিতভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটানোরও পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এভাবে নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে।
কথোপকথনের কিছু অংশ নিচে দেওয়া হলো:
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী: ভালো করে একটু ধাওয়া দিয়েন। ২০টা ছাত্র রাখো ভালো করে খাওয়া দাওয়া করো। এখন একটু এগ্রেসিভ হও। না হলে বদমায়েশি থামাতে পারবো না। এখন একমাত্র পথ হচ্ছে ওরা এককদম বাড়লে আমাদের ২ কদম বাড়তে হবে।
মীর মর্তুজা আলী: জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নিপীড়নবিরোধী মানববন্ধন আছে। সেখানে আমাদের ছেলে মেয়েরাও যাবে।
ডা. জাফরুল্লাহ: হ্যাঁ, জাহাঙ্গীর নগরকে প্রবেশ করাতে পারলে অনেক লাভ হবে।
মীর মর্তুজা আলী: পুলিশকে আজ বলেছি বিদেশি যে মেয়েগুলো আসছে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
ডা. জাফরুল্লাহ: শুনেছি ইন্ডিয়ান মেয়েরা পিছিয়ে আসছে। ওরা কেন পিছিয়ে আসবে। আমাদের ৫ হাজার ছাত্র আছে তার ভেতর ৫০ জনকে যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি। কারণ মারপিট করতে ৫০ জনের বেশি ছাত্র লাগে না। মৌলভিকে ২টা মেয়েকে দিয়ে এখন নারী নির্যাতন কেস করায়ে দাও।
মীর মর্তুজা আলী: হ্যাঁ ৫০ জন ছাত্রের এখন লিস্ট করা হয়েছে।
ফোনালাপের পুরো অডিওটি নিচে দেওয়া হলো: