নওগাঁ সংবাদদাতা:
ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিকতার পাঠ ও সুস্থ সুন্দর জীবন যাপনের আকর কোরান এবং সুন্নাহ এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা শিক্ষা দেয়া হয় মাদ্রাসায়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছেলে ও মেয়ে শিশু ধর্ষণ, নির্যাতনসহ নানাবিধ অপকর্মের সংবাদ আসছে প্রতিদিনই।
এবার নওগাঁর সাপাহারে পিছলডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি খাইরুল ইসলাম। খাইরুল ইসলামের স্ত্রী, সন্তান ও নাতি রয়েছে। বর্তমানে তার স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিছলডাঙ্গা মলপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের পুত্র খাইরুল ইসলাম গত গত জুনে উক্ত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ওই মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে গোপনে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি। মাদ্রাসা ছুটির পর শ্রেণিকক্ষে যৌনকর্ম করার অভিযোগও পাওয়া গিয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে অপপ্রচার বলে উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়। বিষয়টি প্রথমদিকে তেমন জানাজানি না হলেও পরে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি থাকা সত্বেও নাতনীসম মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে অবৈধ ও পরকীয়ার সম্পর্ক বজায় রাখা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও মুখরোচক গল্প সৃষ্টি হলে গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী উধাও রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৭ নভেম্বর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় অভিযুক্ত সভাপতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি খাইরুল ইসলাম এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হরেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি এখনও। তবে অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।