৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জনতার হাত থেকে রক্ষা পেল চোর

0

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর দাগনভূঁঞায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে গণ- ধো’লাই থেকে রক্ষা পেলেন এক চোর। তার নাম মো. শরীফ (৩৫)। শুক্রবার রাতে উপজেলার বারাহীগুণী গ্রামের চিশতীয়া দরবার শরীফে এ ঘটনা ঘটে।

মো. শরীফ পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনা গ্রামের মজুমদার বাড়ির আমির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে শরীফ উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহীগুণী গ্রামের চিশতীয়া দরবার শরীফের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় সিসিটিভি ক্যামেরায় বিষয়টি দেখে ফেলেন দরবার শরীফের তদারককারী মো. ফরহাদ। তিনি মোবাইলে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। এরপর স্থানীয় লোকজন এসে দরবার শরীফ ঘেরাও করেন।

বিপদ আঁচ করতে পেরে শরীফ ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশি সহায়তা চান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরবার শরীফ থেকে তাকে আটক করে।

থানার ওসি মো. আসলাম সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে চিশতীয়া দরবার শরীফে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে শরীফ। এ সময় সে জনতার ভ’য়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশি সহায়তা চেয়ে রক্ষা পায়। এ ঘটনায় দরবার শরীফের তদারককারী মো. ফরহাদ বাদী হয়ে শরীফকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

ঘুষ লেনদেন, ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ।

সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার স্কয়ার কোম্পানির সামনে থেকে আরএফএল বেস্ট বাই এর ম্যানেজার লুৎফুর রহমান তার এক কাস্টমারের মোটরসাইকেলে করে অলিপুর আসছিলেন।

এ সময় শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করে কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু চালক কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে জানালে লুৎফুর রহমানের জি’ম্মায় মোটরসাইকেলটি রেখে চালক বাড়ি থেকে কাগজপত্র আনতে যান।

কিন্তু তিনি আর কাগজপত্র নিয়ে না আসায় পুলিশ লুৎফুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে হাজতে আটকে সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দাবি করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন। অন্যথায় তাকে ই’য়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার হুম’কি দেন।

একপর্যায়ে পুলিশের দাবি করা সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দিয়ে রাতে থানা থেকে মুক্তি পান লুৎফুর রহমান।

এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর লুৎফুর রহমান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেন।

এতে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোজাম্মেল হোসেন, এক সাব-ইন্সপেক্টর ও ৩ কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত অ’ব্যাহত রয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!