বিনোদন ডেস্ক:
দেশজুড়ে চলছে ধ* বিরো’ধী আন্দোলন। প্রতিবাদে সোচ্চার শোবিজ তারকারাও। এবার এ নিয়ে কথা বললেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। এ নিয়ে একটি ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করেন। যদিও সমালোনার মুখে সেই ভিডিও সরিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি। সেই ভিডিওতে অনন্ত জলিল ধ* দের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট আইন ও তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা ভিডিওতে তিনি নারীদের শালীন পোশাক পরার আহ্বান জানান। বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রীকে অভিভাবক সম্বোধন করে ধ* দের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট আইন ও তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান অনন্ত জলিল।
অনন্ত জলিল তার বক্তব্যে বলেন, যারা ধ* করছো, তোমাদের কারণে সাধারণ মানুষ সারা দেশে আন্দোলন করছে এতে করে বিঘ্নি’ত হচ্ছে মানুষের জীবন যাপন। তোমাদের স্ত্রী কন্যার সাথে তেমন কিছু ঘটনলে কেমন লাগবে তোমাদের? তুমি তো একটা অ’মানুষ! তোমার হয়তো ভালোই লাগবে, না হলে অন্যের মা-বোনের সাথে তো এসব করতে পারতে না। তোমার যে মনুষত্ব সেটা তো শেষ হয়ে গেছে।
অনন্ত জলিল নারীদের উদ্দেশ্যে ‘ভাই’ হিসেবে কিছু কথা বলেন। ব’খাটেদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি শরীর আচ্ছাদনের কথাও বলেন এ সময়। নারীদের পাশ্চাত্য দেশের পোশাক ‘ফলো করে’ তা পরিধানে নিষে’ধ করে বলেন, এইসব ড্রেস-আপ দেখে চেহারার দিকে না তাকিয়ে ব’খাটেরা তোমার ফিগারের দিকে তাকায়, এরপর বিভিন্ন মন্তব্য করে এবং রে-ইপ করার চিন্তা তাদের মাথায় আসে।
‘মডার্ন’ জামাকাপড়ের কথা তুলে জলিল বলেন, তোমরা কি নিজেদের মডার্ন মনে করো? অ্যাঁ? এটা কি মডার্ন ড্রেস? না অ’শালীন ড্রেস। এটা মডার্ন ড্রেস হতে পারে না। মডার্ন ড্রেস হবে যেখানে ফেস দেখা যাবে যেটা আল্লাহতায়লা দিয়েছেন। কিন্তু যে বডিটা আছে সেখানে শালীনভাবে পোশাক পরতে হবে। নিজেকে পাশের একজন ভদ্র মেয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করে দেখো, তোমাকে কত বা’জে লাগে দেখতে।
নারীদের টি-শার্ট পরার কারণে ‘ইজ্জত শেষ’ হয়ে যায় উল্লেখ করে অনন্ত এই ভিডিওতে আরো বলেন, ছেলেদের মত একটা টি-শার্ট পরে বের হয়ে যাও, মডার্ন মেয়ে তুমি! খুব মডার্ন! তারপর ই’জ্জত শেষ করে নিজেকে শেষ করে দাও, না হয় মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারো না, এটা কি মডার্ন? শালীন ড্রেস পরলে যারা ব’খাটে যাদের মাথায় ধ* এর চিন্তাভাবনা আছে তারা তোমার দিকে শ্রদ্ধার দিকে তাকাবে। এরপর চোখ নিচের দিকে নিয়ে নেবে।
ধ* এর সাজা মৃ’ত্যুদ’ণ্ড চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদনও জানিয়ে অনন্ত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, আপনি আমাদের অভিভাবক। এই সব অ’মানুষদের মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের আইন ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিতে হবে। আপনার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে আপনি কখন নির্দেশ দেবেন।
এদিকে এমন ভিডিও বার্তায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা নারীর পোশাককে দায়ী করা অনন্ত জলিলের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, যারা মসজিদ মাদ্রাসায় ছোট ছোট বালক-বালিকাদের সাথে এসব করে, তাতে দোষটা কাদের? এমনকি ৬ মাস বয়স থেকে শুরু করে ৭২ বছরের বৃদ্ধার সাথে যা ঘটে, সেখানে কি পোশাক দায়ী? বোরকা হিজাব পরিহিত তনুর ঘটনায় দায়ী কে?
অনন্ত জলিলের এমন বার্তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে। অনন্তের স্ত্রী বর্ষাকে পর্যন্ত ছেড়ে কথা বলেননি তারা। বর্ষার অনেক ‘মডার্ন’ পোশাক পরিহিত ছবি পোস্ট করে সমালোচকরা বলেন, নিজের ঘরেই তো নিজের বক্তব্যের প্রতিফলন নাই, অন্যের ওপর দায় চাপাতে চান কেন? এ সময় অনন্ত জলিলের বিভিন্ন সময় জোব্বা পাগড়ি পরিহিত ছবি এবং সিনেমায় নায়িকার সাথে গানের দৃশ্যের ছবি পোস্ট করে মন্তব্যকারীরা অনন্ত জলিলকে নিয়ে ট্রল করেছেন অনেকেই।
তবে সচেতন মহল এও বলেন, ধ* এর পেছনে ধ* কদের মানসিকতাই একমাত্র দায়ী। আর এসব মন্তব্য দেখে দ্রুত ভিডিওটি সরিয়ে নেন অনন্ত।